ধর্ম

বৈধ উপার্জন ইবাদাতে মনোযোগী হওয়ার উপায়

আল্লাহ তাআলার দরবারে ইবাদাত-বন্দেগি কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হলো হালাল রিযিক। হালাল পথে উপার্জনের মানসিকতা তৈরি ব্যতিত ইবাদাত-বন্দেগিতে পরিপূর্ণ মনোযোগ দেয়া সম্ভব নয়। আর অভাব-অনটনে পড়ে অবৈধ উপায়ে স্বচ্ছলতা লাভ করে তা দ্বারা জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে ইবাদাত-বন্দেগি করলে আল্লাহ তাআলা সে ইবাদাত গ্রহণ করবেন না এবং অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ খরচ করে ইবাদাত বন্দেগিতে মনোযোগীও হওয়া যায় না।ইবাদাত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়ার জন্য অধিক অর্থ ও চাহিদার প্রয়োজন নেই। কারণ যার মধ্যে চাহিদা যত বেশি তার মধ্যে ইবাদাত-বন্দেগির ঘাটতি তত বেশি। অধিক অর্থ চাহিদা মানুষকে অন্যায়ের পথে বেশি ধাবিত করে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবাগণ বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন না। কোনো রকমে দিন-যাপন করতেন এবং আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকাতেন। এটাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। মুসলিম উম্মাহরও এ লক্ষ্য হওয়া উচিত।হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রহমান দারিমি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেছেন,  রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে পরিবারের লোকদের কাছে খেজুর আছে তারা ক্ষুধার্ত হতে পারে না।’ (মুসলিম) সুতরাং যারা ক্ষুধার্ত নয়, তাদের ইবাদাত-বন্দেগিতে মনোযোগী হতে কোনো বাধা নেই। ক্ষুধা নিবারণের জন্য এখানে অনেক সম্পদের প্রয়োজন তারও উল্লেখ নেই।এ জন্যই কুরআনে কারিমে নামাজ আদায়ের পরপরই জীবিকার অন্বেষনে বের হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। কারণ ইবাদাত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়ার জন্য হালাল রিযিক প্রয়োজন। ক্ষুধা নিবারণ প্রয়োজন। আর ক্ষুধা নিবারণ যেহেতু বিলাসিতা নয় বরং ইবাদাত। তাই হালাল রিযিক তালাশ করাও ইবাদাতে মনোযোগী হওয়ার উপায়।পরিশেষে...জীবন ধারণের জন্য উপার্জনে সক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তিকে উপার্জন করতে হবে। অর্থ উপার্জন ছাড়া পৃথিবীতে বসবাস করা যেমন সম্ভব নয়, তেমিন ইবাদাত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়াও সম্ভব নয়। তাই মুসলিম উম্মাহর অলসভাবে বসে থাকার সুযোগ নেই। তাই নামাজ শেষে নিজের এবং পরিবারের খরচ নির্বাহে উপার্জনের জন্য বের হওয়া আবশ্যকীয় কাজ।ইবাদাত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়ার জন্য হালাল উপায়ে জীবিকা সন্ধানে তথা প্রয়োজনীয় রিযিক তালাশে জমিনে বিচরণ করাই হলো আল্লাহ তাআলা হুকুম। সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইবাদাত-বন্দেগিতে মনোযোগী হতে হালালভাবে রিযিক অন্বেষনের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি

Advertisement