খেলাধুলা

ওদের চোখে স্বপ্ন অনেক

অবশেষে শুরু হলো উদীয়মান ক্রিকেটারদের নিয়ে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের কন্ডিশনিং ট্রেনিং। এবারের ক্যাম্পে জায়গা পাওয়া প্রায় সব ক্রিকেটারই তরুণ। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ভালো পারফর্ম করেই এ ক্যাম্পে জায়গা করে নিয়েছে তারা। এইচপিতে সুযোগ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত তরুণ ক্রিকেটাররা। নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়েই এ ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন তারা।ক’দিন আগেই জাগোনিউজের সঙ্গে আলাপকালে ক্যাম্পের প্রধান দায়িত্বে থাকা বিসিবির গেম ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছিলেন, এইচপি ক্যাম্প জাতীয় দলের পাইপলাইন। এখান থেকে জাতীয় দলের জন্য আগামীদিনের খেলোয়াড় খুঁজে বের করাই হবে তাদের দায়িত্ব। কথাগুলো ভালো করেই জানেন ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ক্রিকেটাররা। এ কারণেই জাতীয় দলের খেলার স্বপ্ন বুকে নিয়ে প্রথম ধাপে সুযোগ পেয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান তরুণ তুর্কিরা।অনূর্ধ্ব-১৯ দলের গন্ডি পেরিয়ে এসেছেন সাইফ হাসান। এই ক্যাম্পকে এখন দেখছেন ভবিষ্যত সাফল্যের সিঁড়ি হিসেবে, ‘এখানে সিনিয়র কিছু ক্রিকেটারও আছেন। তাদের সাথে প্রায় দুই মাস এক সাথে থাকবো। তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করবেন। তাছাড়া এখানে বড় বড় কোচরা আছেন। এখানকার প্রশিক্ষণ নিশ্চয়ই সামনের টুর্নামেন্টগুলোতে কাজে লাগাবো।’আর রবি ফাস্ট বোলার হান্ট থেকে সেরা হয়ে উঠে এসেছেন পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরী। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এ তরুণ অনেকটা স্বপ্নের ঘোরেই রয়েছেন। অফিসিয়াল ব্যাস্ততায় খেলা হয়নি প্রিমিয়ার লিগ। তারপরও এইচপিতে ডাক পাওয়ায় একটু বেশি উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘এইচপিতে আসার পর অনেক ভালো লাগছে। আমি এই সুযোগটা গ্রহণ করবো। আমার প্রথম লক্ষ্য হলো, জাতীয় দলে খেলা। আর দ্বিতীয় লক্ষ্য হচ্ছে- এটা এমন একটা সুযোগ যে- নিজেকে ভালো বোলার হিসেবে প্রমাণ করা। এখান ভালো কিছু শিখতে চাই, যা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।’বাঁ-হাতি স্পিনারদের ভিড়ে বরাবরই লেগস্পিনারদের দারুণ অভাব বাংলাদেশ দলে। তাই সে সংকট কাটাতে নূর হোসেন মুন্নাকে সুযোগ দেয়া হয়েছে ক্যাম্পে। সুতরাং, সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চান এ নবীন, ‘আমাদের এখানে লেগস্পিন করাটা খুব কঠিন। আশা করছি এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবো।’এবারের প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফরম্যান্স করেছেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান। ফলশ্রুতিতে এইচপি ক্যাম্পে ডাক পান তিনি। যদিও এখনই নিজের সামনে অনেক বড় লক্ষ্য স্থির করছেন না তিনি। ধাপে ধাপেই এগিয়ে জেতে চান, ‘দুই মাসের ট্রেনিং সেশন হবে। যদি ভালো কিছু করতে পারি, ফিটনেসের লেভেলটা বাড়াতে পারি, স্কিলে আরো উন্নতি করতে পারি- তাহলে বিপিএল, বিসিএল, এনসিএল আছে সামনে তাতে কাজে দেবে। আর সবারই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলার। তো ধাপে ধাপে এগুতে হবে। ধাপে ধাপে না এগুলে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া কঠিন। চেষ্টা থাকবে যতো উন্নতি করা যায়।’উল্লেখ্য, নয় সপ্তাহ চলবে এবারের এইচপি ক্যাম্প। তবে ক্যাম্প শুরু হলেও আপাতত কোচ সাইমন হেলমটকে পাচ্ছে না এইচপির ক্রিকেটাররা। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এ কারণে এ মাসে দেশে আসতে পারছেন না এ অস্ট্রেলিয়ান। আপাতত তার পরিবর্তে বিসিবির দেশীয় কোচদের অধীনেই চলবে এইচপির কন্ডিশনিং ক্যাম্প।আরটি/আইএইচএস/এবিএস

Advertisement