অবশেষে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে মালয়েশিয়া সরকার কর্মী নেয়ার বিষয়টি ঘোষণা করতে পারে বলে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ও রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রা সূত্রে জানা গেছে। আর এ মাসে ঘোষণা হলেই চলতি বছরের আগস্ট থেকেই দেশটিতে বড় পরিসরে সরকারি ও বেসরকারি প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়া শুরু হতে পারে।প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা ও বায়রার নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ভারতপন্থী শ্রমিক ইউনিয়নসহ এনজিও গোষ্ঠীর চাপে মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মী নেয়া বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর দেশটির কলকারখানাসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক কর্মী সংকট দেখা দেয়। এমনকি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখে পড়ে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শ্রম) সাইদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কর্মী নেয়ার ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অফিশিয়ালি কিছু জানা যায়নি। তবে আশা করছি খুব শিগগিরই মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার দ্বার উন্মোচন হবে।’উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে ‘জিটুজি’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতে শুরু করে মালয়েশিয়া। সে অনুযায়ী শুধু সরকারিভাবে মালয়েশিয়ার ‘প্লান্টেশন’ খাতে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছিল। এখাতে কাজ করতে আগ্রহীর সংখ্যা কম হওয়ায় ওই উদ্যোগে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।পরে মালয়েশিয়ার জনশক্তির জন্য বাংলাদেশ ‘সোর্স কান্ট্রির’ তালিকায় এলে সেবা, উৎপাদন, নির্মাণসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়। মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর ২৪ ঘণ্টা পার হবার আগেই চুক্তি স্থগিত করা হয়।বিএ/এমএস
Advertisement