আন্তর্জাতিক

অভ্যুত্থানে ছিল সেনাবাহিনীর তিনটি শাখা

তুরস্কের সদ্য ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে দেশটির সেনাবাহিনীর তিনটি শাখার সদস্যরা মূলত জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম । বিদ্রোহীরা বিমান বাহিনী, সামরিক পুলিশ এবং সাজোয়া ইউনিটের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটিতে ২,৮৩৯ সামরিক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে  ৫ জেনারেল এবং ২৯ কর্নেলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় তিন হাজার বিচারককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ শনিবার এ সিদ্ধান্ত নেয়।কেন তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে, তার কোনো ব্যাখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে মোট ২৬৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন সরকারি বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক হলেন ১৬১ জন।অভ্যুত্থানকারীদের মধ্যে ১০৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ১৪০ জন। শুক্রবার রাতে তুরস্কে অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাহসী পদক্ষেপ এবং জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসায় অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। পুলিশ বাহিনীও সরকারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেয়।পরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, সামরিক বাহিনীর একটি ক্ষুদ্র অংশের অভ্যুত্থান করার চেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়া হয়েছে। সরকার এখন পুরো দেশের দায়িত্বে রয়েছে। অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার অভিযোগ আনা হবে বলে জানিয়েছেন এরদোগান।এদিকে আকস্মিক সেনা অভ্যুত্থানের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এমন ‘অশুভ’ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণকে রাজপথে থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় এরদোয়ান বলেছেন, সেনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে আমাদের রাজপথেই থাকতে হবে। অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সেনা সদস্যরা আবারো এ ধরনের প্রচেষ্টায় অংশ নিতে পারে। তাদের এ ধরনের প্রচেষ্টা কখনোই সফল হতে দেয়া যাবে না। অপরদিকে সেনা অভ্যুত্থানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করেছে তুরস্ক। তাকে আশ্রয় দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।এক বিবৃতি তিনি জানিয়েছেন, ফেতুল্লাহ গুলেনকে যে দেশই সমর্থন জানাবে, তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর অবস্থান নেয়া হবে। সেটা যুদ্ধের পর্যায়েও যেতে পারে। এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement