তুরস্কে শুক্রবার রাতে ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে আকস্মিক সেনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিম নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ি করছে তুরস্ক। যদিও ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা সফল হয়নি। তবে আকস্মিক ও বেপরোয়া ওই অভ্যুত্থানের ঘটনায় বেশ ক্ষিপ্ত হয়েছে তুরস্ক সরকার। প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লা গুলেনকে যে দেশই সমর্থন জানাবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর অবস্থান নেয়া হবে। সেটা যুদ্ধের পর্যায়েও যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, যে দেশ ফেতুল্লা গুলেনকে আশ্রয় দেবে সেই দেশই তুরস্কের শত্রু। বর্তমানে মধ্যপন্থী এই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বসবাস করছেন। স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন নিয়েছিলেন ফেতুল্লা গুলেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এই সেনা অভ্যুত্থানের জন্য সরাসরি গুলেনকেই দায়ি করেছেন। তবে গুলেনের হিজমেত আন্দোলন এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এদিকে, তুরস্কের একটি ফৌজদারি আদালত গুলেনের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে।তুরস্ক গুলেনকে ফেরত পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দাবি জানিয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য গুলেন বা তার কোনো অনুসারিকে অভিযুক্ত করেনি তুরস্কের কোনো আদালত। টিটিএন/এবিএস
Advertisement