আন্তর্জাতিক

ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর চলছে গণগ্রেফতার

তুরস্কে গত রাতের সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এ অভ্যুত্থানে সর্বশেষ ১৬১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪৪০ জন। সরকারের দাবি, পরিস্থিতি এখন ৯০ শতাংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে এখনো কয়েকজন সেনা অধিনায়ক অভ্যুত্থানের পক্ষের সেনাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছেন।এদিকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পরই গণগ্রেফতার চালাচ্ছে দেশটির প্রশাসন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২ হাজার ৮৪৯ জন সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তুরস্কে এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা শুরু হয় গত রাতে। ইস্তাম্বুল ও আংকারা শহরে হঠাৎ করেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয় সেনারা, গড়াতে থাকে ট্যাংক, খুব নিচ দিয়ে উড়ে যেতে থাকে সামরিক বিমান। বোমা হামলা ও বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।এসময় সাধারণ জনগণের অনেককেই রাস্তায় সেনাদের ধাওয়া করতে দেখা গেছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার সমর্থক বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করছে। এরদোয়ানের হাজার হাজার সমর্থকের বিক্ষোভের মুখে সেনা বাহিনীর বিদ্রোহী অংশ ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।রাস্তায় পড়ে আছে পরিত্যক্ত ট্যাংক, অস্ত্রশস্ত্র এবং সেনাদের পোশাক। অভ্যুত্থানের চেষ্টার পর বহু সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন।এদিকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান টেলিভিশনে এক ভাষণে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, সরকারকে হটিয়ে দেয়ার জন্য যে অভ্যুত্থান হয়েছে, তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সেনাবাহিনী থেকে আগাছা উৎপাটনের সময় এসেছে।আকস্মিক সেনা অভ্যুত্থানের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট। এমন ‘অশুভ’ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণকে রাজপথে থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় এরদোয়ান বলেছেন, সেনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে আমাদের রাজপথেই থাকতে হবে। অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সেনা সদস্যরা আবারো এ ধরনের প্রচেষ্টায় অংশ নিতে পারে। তাদের এ ধরনের প্রচেষ্টা কখনোই সফল হতে দেয়া যাবে না। এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement