তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির সামরিক বাহিনীর ৭৫৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অ্যানাটোলিয়ার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে। ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২৯ জন কর্নেল এবং ৫ জন জেনারেলকে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এরআগে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত রাত আড়াইটার দিকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তুরস্কের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা শুরু করে সামরিক বাহিনীর একটি অংশ। প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান তখন দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মারমারিস হলিডে রিসোর্টে ছিলেন। সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার খবর পেয়ে ইস্তানবুলে ফিরে আসেন তিনি। এদিকে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের চেষ্টার মধ্যে দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় শুক্রবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।পরে শনিবার সকালের দিকে জনতার উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রিসেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান বলেন, অভ্যুত্থান ব্যর্থ, সরকারের হাতেই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গোলাগুলি, বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ক্ষমতা দখলের দাবি করে রাতে দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেছে। দেশটির গণমাধ্যমেরও নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। তবে তুরস্কের সেনাপ্রধান কোথায় আছেন সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। এদিকে রাতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা শুরুর পর থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। ইস্তানবুলের তাকসিম স্কয়ারের কাছে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে। রাজধানী আঙ্কারায় পার্লামেন্ট ভবনেও বিস্ফোরণেও খবর রয়েছে।সেনা অভুত্থানের এই চেষ্টার পেছনে কাদের, কতটা সমর্থন রয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের কয়েকজন আটক হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকালের দিকে এর্দোয়ান বলেন, যারা ট্যাংক নিয়ে নেমেছেন তারা যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে যেতে হবে। অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের সন্ত্রাসী বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। এরআগে ১৯৯৩, ১৯৮০, ১৯৭১ ও ১৯৬০ সালেও তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের খবর রয়েছে। এনএফ/এমএস
Advertisement