এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন মোট ১১ জন বোলার। এর মধ্যে একমাত্র পেসার হিসাবে রয়েছেন সিসিএসের সাইফুদ্দিন। যদিও এখনো তার বিপক্ষে আনা অভিযোগ প্রমানিত হয়নি। তবে নিজের অ্যাকশন নিয়ে দারুণ আশাবাদী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এ অলরাউন্ডার। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিয়েছেন এ নবীন। আগামী সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে এইচপি ক্যাম্প। ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আগে নিজের ফিটনেসকে একটু ঝালিয়ে নিতে শুক্রবার বিসিবির একাডেমী মাঠে এসেছিলেন সাইফুদ্দিন। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি সন্দেহের মধ্যে আছি। তবে এখনো তা প্রমানিত হয়নি। আমার বোলিংয়ের ফুটেজ তারা দেখবে। যদি দেখে সমস্যা আছে তাহলেই কেবল কাজ করবে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। তবে এটা আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।’এবারের লিগে ইনজুরির কারণে সব ম্যাচ খেলতে পারেননি সাইফুদ্দিন। তাই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। তারপরও তাকে এইচপি ক্যাম্পে নেওয়ায় বিসিবির প্রতি কৃতজ্ঞ এ নবীন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যতটা সম্ভব শিখে নিতে চান সাইফুদ্দিন। ‘ইনজুরির কারণে প্রিমিয়ার লিগে সব ম্যাচ খেলতে পারিনি। পারফরম্যান্স সেভাবে দেখাতে পারি নাই। তারপরও বিসিবি আমাকে এইচপিতে সুযোগ দিয়েছে, চেষ্টা করবো যতটা শিখে নিতে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে হাই লেভেলের কোচ থাকবে তাদের কাছ থেকে যতটা পারি শেখার চেষ্টা থাকবে।’এইচপি ক্যাম্পে নিজেকে প্রমাণ করাই প্রথম লক্ষ্য সাইফুদ্দিনের। ক্যাম্পে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়দের কাছ থেকে তাদের অভিজ্ঞতা জানার পাশাপাশি নতুন কিছু শিখতে চান এ নবীন। ‘অনূর্ধ্ব-১৯ এর পর আমার লক্ষ্য ছিল এইচপিতে সুযোগ পাওয়া, এখানে ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে। সিনিয়র খেলোয়াড়রা আছেন। সাকলাইন সজীব, রনি (আবু হায়দার) ভাইরা আছে। প্রিমিয়ার লিগের টপ পারফরমাররা আছেন। ওনাদের কাছ থেকে যতটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যায়। অনূর্ধ্ব-১৯ একটা লেভেল, এটা আরও বড় একটা লেভেল। চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু শেখা এবং নিজেকে প্রমান করা।’আরটি/এমএস
Advertisement