ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় নিস শহরে বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে ট্রাক চাপা দিয়ে অন্তত ৭৭ জনকে হত্যা করেছে এক হামলাকারী। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলেই মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরো শতাধিক। গেল নভেম্বরে প্যারিসে প্রায় একই সময়ে কয়েকটি স্থানে বোমা হামলা ও বন্দুকধারীদের গুলিতে প্রায় দেড়শ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর জারি করা জরুরি অবস্থা উঠিয়ে নেওয়ার কথা ছিল চলতি মাসের শেষ দিকে। তবে বৃহস্পতিবারের হামলার পর জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভিড়ের মধ্যে মানুষের উপর তুলে দেয়া হয় ট্রাকটি। পরে পুলিশের গুলিতে ট্রাকচালক নিহত হন। পুলিশ পরে ট্রাকটিতে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক ও গ্রেনেড পেয়েছে। হামলার পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ বলেছেন, এটা যে একটা সন্ত্রাসী হামরলা ছিল তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।হামলার পর নিসের রাস্তায় পুলিশনিসে চালানো হামলার প্রত্যক্ষদর্শী টনি মলিনা নামে মার্কিন পুলিশের এক সদস্য। তিনি ছুটি কাটাতে নিসে গিয়েছিলেন। তিনি আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলির আওয়াজ পেয়েছেন। হামলার পর গুলি ছোড়ে পুলিশ। আহতদের দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে মরদেহ। হামলার পরে কিছু সড়ক বন্ধ করে দেয় পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, প্রথমে ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলে মনে করা হলেও পরেই বোঝা যায় পুরোটাই পরিকল্পিত। কর্তৃপক্ষ পরে নিশ্চিত করেছে যে হামলকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পল ডিলেন নামে এক মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, এ রকম পরিস্থিতিতে কী করতে হবে তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কেউ বুঝতে পারছিল না আসলে হচ্ছেটা কী। আমরা শুধু বুঝেছিলাম যে, জীবন বাঁচাতে দৌড়াতে হবে। গতবছরের নভেম্বরে প্যারিসে চালানো হামলায় প্রায় দেড়শ জন নিহত হন। এরপর বৃহস্পতিবারের হামলায় প্রাণ গেল অন্তত ৭৭ জনের। কোনো কোনো গণমাধ্যমে ৮০ জন নিহত হওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। এনএফ/পিআর
Advertisement