ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি কিংবা ডেভিড ওয়ার্নারদের মার মার, কাট কাট ব্যাটিংয়ের দিন সম্ভবত শেষ হতে চললো। মোটা এবং দৈত্যাকার ব্যাট দিয়ে তারা বোলারদের ওপর যেভাবে তাণ্ডবলীলা চালান, তাতে বাধ সাধতে যাচ্ছে আইসিসি এবং বিশ্ব ক্রিকেটের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি (এমসিসি)। মূলত এমসিসি সুপারিশটা পাঠাচ্ছে আইসিসির কাছে। এরপর আইসিসির বৈঠকেই অনুমোদন দেয়া হবে সেই সুপারিশ। তো এমসিসি তাদের সুপারিশে কী রাখতে যাচ্ছেন?লর্ডসেই গতকাল বৈঠকে বসেছিল ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির সদস্যরা। উদ্দেশ্য, ব্যাটের জন্য নির্দিষ্ট মাপ ঠিক করে দেয়া। এই বৈঠকে যোগ দিতে সাবেক ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি, সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং, পাকিস্তান অধিনায়ক রামিজ রাজা, ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনরা উপস্থিত হন লর্ডসে। কমিটির চেয়ারম্যান ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইক ব্রিয়ারলি।সোম এবং মঙ্গলবার এই দু’দিন ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির বৈঠকে পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ব্যাটের দুই ধার ও তার মাঝের অংশ কতটা পুরু হবে, তার সীমা নির্ধারণের সুপারিশ করা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন ব্যাটের দুই ধার ৫৫ মিলিমিটার পর্যন্ত মোটা হয়। এমনকি ব্যাটের মাঝের অংশ ৮০ মিলিমিটার পর্যন্ত পুরু হয়, যা দিয়ে ক্রিস গেইল, ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো ধ্বংসলীলা চালান।ব্যাটসম্যান ও বোলারদের মধ্যে এই যুদ্ধে যাতে ভারসাম্য আসে, সে জন্য এমসিসির সুপারিশ ব্যাটের দুই ধার ৩৫ থেকে ৪০ মিলিমিটারের বেশি হওয়া চলবে না। আর মাঝের অংশ ৬০ থেকে ৬৫ মিলিমিটারের বেশি হবে না। এই সুপারিশ এমসিসির মূল কমিটি অনুমোদন করলে সেটা যাবে আইসিসির ক্রিকেট কমিটিতে। যে কমিটির সভাপতি আবার অনিল কুম্বলে। কুম্বলেদের কমিটি এই নতুন নিয়মকে সবুজ সঙ্কেত দেবে, এমনই মনে করা হচ্ছে। সাধারণত এমসিসি’র সুপারিশ অগ্রাহ্য করে না আইসিসি। এখন দেখার, এই সুপারিশ তারা মেনে নেয় কি না। তবে আইসিসি এই সুপারিশ মেনে নিলেও আগামী বছর অক্টোবরের আগে এই নতুন নিয়ম চালু হবে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।মজার ব্যাপার ব্যাটের মাপের সীমা নিয়ে এমসিসির এই সুপারিশ করার দিন শচীন টেন্ডুলকারও ছিলেন লন্ডনে। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যাটের মাপ নিয়ে আরও ভাবনা-চিন্তা করা দরকার। আমি চিরকাল ভারি ব্যাটে খেলে এসেছি। আসলে ব্যাট ভারি হোক বা হাল্কা, গ্রিপটা রপ্ত করে ফেললে আর সমস্যা হয় না।’লর্ডসের বৈঠকে গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট নিয়েও আলোচনা হয়। যা নিয়ে কোনও আপত্তি তো নেই-ই কমিটি সদস্যদের, বরং এ ব্যাপারে আইসিসিকে সাহায্য করতেও রাজি বলে জানিয়েছে এমসিসি।আইএইচএস/এবিএস
Advertisement