রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বেবিচকের পক্ষ থেকে বারবার তাগাদা দেয়ার পরও কর্ণপাত করছে না বিমান। অবশেষে লিখিত চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে পাওনা টাকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বেবিচক সূত্র। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থের অভাবে বেবিচক কর্তকর্তাদের বেতন-ভাতা, বিমানবন্দর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণসহ চলমান বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারছে না। বিমানের কাছে এত বড় অংক পাওনা থাকার পরও প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় সরকারি বরাদ্দ অথবা দাতা সংস্থার দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। আর নিজের পাওনা থেকে প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেবিচকের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, শুধু বাংলাদেশ বিমানই নয়, বেসরকারি বিভিন্ন বিমান কোম্পানির কাছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাওনা রয়েছে বেবিচকের। পাওনা নিয়ে দেনদরবার করেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। তবে বিমান কিছু দেনা গত তিন মাসে পরিশোধ করেছে। তিনি আরো বলেন, এখন বেবিচকের সব বকেয়া আদায়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিমান ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও পর্যায়ক্রমে চিঠি দেয়া হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে জুন পর্যন্ত বেবিচকের মোট ১ হাজার ৭৭৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা পাওনা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে মূল বিল ৬২৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বাকি টাকা সারচার্জ । উল্লেখ্য, বেবিচকের নতুন নতুন ব্যয়ের খাত সৃষ্টি হওয়ায় রাজস্ব ও উন্নয়ন ব্যয় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এর মধ্যে ২০১১ সাল থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়করের আওতায় এসেছে। প্রতি বছর এনবিআরকে তাদের প্রায় ১৮০ কোটি টাকা আয়কর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এনবিআরের রাজস্ব বকেয়া পড়েছে ৬০০ কোটি টাকার ওপর। তদুপরি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এনটিআর (নন-ট্যাক্স রেভিনিউ) ৫৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এছাড়া কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে এয়ারলাইন্স ও অ্যারোনটিক্যাল চার্জের ওপর আরো ২৪৩ কোটি টাকা ভ্যাট বসানো হয়েছে।আরএম/এআরএস/পিআর
Advertisement