বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ইসলাম সাম্য, সম্প্রীতি ও শান্তির ধর্ম। এতে উগ্রতা কিংবা জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস চাপিয়ে সমাজে অস্থিরতা ও আতংক সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তাদের সামাজিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এ জন্য ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালেও ধর্মের নামে সন্ত্রাস চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল কিন্তু তারা সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার কাছে পরাজিত হয়েছে। এবারও মানবিক চেতনা বিকাশের মাধ্যমে জঙ্গিবাদীদের পরাজিত করা হবে।তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্র রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত হয়ে আশির দশকে ধর্মের নামে প্রগতিশীল চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসীদের পায়ের রগ কেটে দিয়ে ধর্মের নামে উন্মত্ততা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সমাজের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়।মেনন বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিবাদকে রাষ্ট্রীয় পোষকতা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উত্থান ঘটে বাংলাভাইদের। দেশজুড়ে উগ্রবাদের মহোৎসব হয়। আজকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ তারই বিষ বৃক্ষের ফল। এ বৃক্ষের উৎপাটনে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। মা-বাবাকে খেয়াল রাখতে হবে সন্তানের প্রতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে।সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থায় জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকার, এএইচ এম জিয়াউল হক, যুগ্ম সচিব এটিএম নাসির মিয়া, ড. নাজমান আরা, উপসচিব শামীম আহমেদ, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।এমইউএইচ/আরএস/এবিএস
Advertisement