দেশজুড়ে

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় আরো দুই বনদস্যু বাহিনী

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অস্ত্রসহ সুুন্দরবনের আরো দুই বনদস্যু বাহিনী আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুন্দরবন দাপিয়ে বেড়ানো বনদদস্যু মজনু বাহিনী ও ইলিয়াজ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য অস্ত্রসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করবে।বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নিজামুল হক মোল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ৩১ মে কুখ্যাত বনদস্যু কাদের মাস্টার বাহিনীর ১০ সদস্যের আত্মসমর্পণের ধারবাহিকতায় এই দুই বনদস্যু বাহিনী বুধবার আত্মসমর্পণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।মঙ্গলবার বিকালে এসপি নিজামুল হক মোল্যা জাগো নিউজকে জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মংলা বন্দরের বিএফডিসি জেটিতে বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সার্বিকভাবে আনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকছে র‌্যাব। জেলা পুলিশ প্রশাসন শুধুমাত্র প্রটোকলের বিষয়টি দেখভাল করেছে বলেও জানান তিনি।গত ৩১ মে সুন্দরবনে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় দস্যুবাহিনী হিসেবে পরিচিত কাদের মাস্টার বাহিনীর ১০ সদস্য ৫২টি অস্ত্র ও পাঁচ হাজার গুলি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণ করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সুন্দরবনের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা বনদস্যু মজনু ইলিয়াস বাহিনীর ৭/৮ সদস্য বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে।অপর একটি সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ টহল ফাঁড়িতে দস্যু মজনু বাহিনীর সদস্যরা র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এরপর থেকে তারা র‌্যাবের হেফাজতে রয়েছে। বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের আত্মসমর্পণ করবে।সুন্দরবনের পশ্চিম বনবিভাগ দাপিয়ে বেড়ানো বনদস্যু মজনু বাহিনীর আত্মসমাপর্ণের বিষয়টি ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় সাতক্ষীরা এলাকার জেলেদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই বাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকার জেলে বাওয়ালিদের আটক করে মুক্তির্পণ আদায়সহ বন সংলগ্ন এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।অন্যদিকে, গোটা সুন্দরবনের এক সময়ের ত্রাস বনদস্যু রাজু বাহিনীর প্রধান রাজু পালিয়ে ভারতে যাবার পর ওই বাহিনীর হাল ধরে ইলিয়াজ। সে নিজের নামে বনদস্যু বাহিনী গড়ে সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগে দস্যুতা চালিয়ে আসছিল।শওকত আলী বাবু/এআরএ/আরআইপি

Advertisement