খেলাধুলা

আমাদের ওপর কারও আস্থা ছিল না: রোনালদো

পর্তুগালের ইউরো শিরোপাটা পুরোপুরি নির্ভর করছিলো তার ওপর। তিনি যদি কোনমতে জ্বলে উঠতে পারেন তো, প্রথমবারেরমত মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিটা উঠবে পর্তুগালের হাতে। ২০০৪ সালে নিজেদের মাটিতে কেঁদেছিলেন রোনালদোরা। অখ্যাত গ্রিস মাঝখান থেকে এসে শিরোপা উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল। একযুগ পর, সেই আক্ষেপটা ঘোচানোর জন্য মাঠে নেমেছিলেন রোনালদো।কিন্তু, একি! ম্যাচের সাত মিনিট যেতে না যেতেই দিমিত্রি পায়েতের কড়া ট্যাকলিংয়ের কারণে হাঁটুটাই যেন ভেঙে গেলো রোনালদোর। হাঁটু ভেঙে যাওয়ার পরও বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করেছিলেন সিআর সেভেন। কিন্তু পারলেন না। ম্যাচের ২১তম মিনিটে চোখের পানিতে মুখ ভাসিয়ে মাঠ ত্যাগ করলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।তখনই অধিকাংশই ধরে নিয়েছিলেন পর্তুগালের আশা শেষ। কারণ, ফ্রান্স যেভাবে আক্রমণের পসরা সাজিয়েছে, যে কোন সময় গোল হজম করতে পারে পর্তুগাল। বিপরীতে তাদেরকে যে কেউ গোল এনে দেবে, সে সম্ভাবনাও নেই।কিন্তু; কী আশ্চর্য, পুরো ৯০ মিনিট পর্তুগিজরা ঠেকিয়ে রাখলো ফ্রান্সকে। এরপর অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে ১৯তম (ম্যাচের ১০৯) মিনিটে এডেরের দুর্দান্ত এক শটেই বিজয়গাঁথা রচনা হয়ে গেলো পর্তুগালের। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর হাতেই উঠে গেলো ইউরোর শিরোপা।এমন অসাধারণ এক জয়ের পর সতীর্থদের প্রশংসা আপনাতেই ঝরে পড়বে রোনালদোর মুখ থেকে। একই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, পর্তুগাল সমালোচকদের সমালোচনার দাঁতভাঙা জবাব দিতে পেরেছে।রোনালদো চরম সত্যটা জানিয়ে দিয়ে বলেন, কেউ পর্তুগালের ওপর আস্থা এবং বিশ্বাস রাখেনি যে এই দলটি কোন শিরোপা জিততে পারে। অথচ তারাই আজ ইউরো চ্যাম্পিয়ন। এ কারণেই উঁচু গলায় রোনালদো বলতে পারলেন, ‘আমরা অনেক বছর অপেক্ষা করেছি। অনেক কিছু বিসর্জন দিয়েছি। এরপর এই শিরোপাটা জয়ের দাবিদার ছিলাম আমরাই। অথচ, এ জিনিসটাই কেউ বুঝতে চাইতো না। কেউ আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি।’নিজের অর্জণ সম্পর্কে রোনালদো বলেন, ‘আমি ক্লাবের হয়ে সব কিছুই জিতেছি। কোন কিছুই বাকি নেই। অথচ, জাতীয় দলের হয়ে সাফল্য নেই, এটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় ঘাটতি, দুর্বলতা। সেটাই অবশেষে কাটাতে পারলাম।’রোনালদোর বিশ্বাস ছিল, লিলে স্ট্রাইকার এডের জয়সূচক গোলটা করতে পারবেন। তিনিই সেটা জানাচ্ছেন, ‘আমি তো দীর্ঘদিন ফুটবল খেলি! আমার নিজের অনেক অনুভুতি এবং চিন্তা করার ক্ষমতাও আছে। অভিজ্ঞতা থেকেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এডের এমন একজন, যার পা থেকে গোল আসতে পারে।’আইএইচএস/এমএস

Advertisement