দেশজুড়ে

পর্যটকদের পদচারণায় মুখর জাফলং ও বিছনাকান্দি

ঈদুল ফিতরের টানা নয় দিনের ছুটিতে কেউ সপরিবারে আবার কেউবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ছুটে এসেছেন সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। দেশের একমাত্র জলারবন রাতারগুল, বিছনাকান্দি ও জাফলং পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।প্রকৃতি কন্যা জাফলং ভরে উঠেছে প্রাণের ছোঁয়ায়। পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দিতেও রয়েছে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট ও পান্তুমাইয়ের ফাটাছড়া ঝর্ণাধারাও হাজারো পর্যটকের পদচারণায় ছিল মুখরিত। এই পর্যটন কেন্দ্রগুলো তাদের স্ব-স্ব সৌন্দর্য্যে খুব সহজেই আকৃষ্ট করে আগত পর্যটকদের। ভারতের মেঘালয় পর্বতের পাদদেশে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি প্রকৃতি কন্যা জাফলং। সিলেটের সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেশ-বিদেশে বেশ পরিচিত। প্রকৃতি এখানে পর্যটকদের প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে।পাহাড় টিলা আর সমতল ভূমিতে সারি সারি চা বাগানে সবুজের সমারোহ। অপরূপ রূপের চাদর মোড়ানো পাহাড় আর সেই পাহাড়ের পাশ ঘেষে বয়ে গেছে নদী। পাহাড়ের গাঁ থেকে অবিরাম ঝর্ণাধারা প্রকৃতির সবটুকুই যেন লুটুপটি খাচ্ছে এখানে। তাই সব সময়ই পর্যটকদের পদচারণা থাকে এখানে।বিশেষ করে বল্লাঘাটের জিরো পয়েন্টে ডাউকী নদীর উপর ঝুলন্ত ব্রিজ আরো বেশি আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। আর তাই প্রকৃতির সাজানো এসব দৃশ্যাবলী দেখতে ঈদ পরবর্তী ছুটির দিনগুলোতে পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে থাকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। এসব পর্যটকদের আপ্যায়ন করতে প্রস্তুত রয়েছে জাফলংয়ের আবাসিক অনাবাসিক বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরা। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে গড়ে উঠেছে ভিন্ন রকম ব্যবসা বাণিজ্য। এতে রয়েছে দেশি বিদেশি কাপড়ের ও কসমেটিকসহ নানা রকম উপহার সামগ্রীর ব্যাপক পসরা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের দিন থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত প্রতিদিন কয়েক সহস্রাধিক পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। পর্যটন এলাকার কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। পর্যটন এলাকার প্রবেশ মূখ মামার বাজারের মোহাম্মদপুর থেকে শুরু করে বল্লাঘাট পর্যন্ত কয়েক শতাধিক পর্যটকবাহী গাড়ি রয়েছে। এছাড়া রাস্তাঘাট, রেস্টুরেন্টের সম্মুখ ছাড়াও পাথর রাখার ফিল্ড ও ক্রাশার মেশিন জোন এলাকায় ও প্রচুর পরিমাণ গাড়ি পার্ক থাকায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে যাজটের সৃষ্টি হয়।টাঙ্গাইল সদর এলাকা থেকে স্বপরিবারে বেড়াতে আসা পর্যটক আমিনুল ইসলাম জানান, জাফলংয়ে বেড়াতে এসে খুব ভালো লাগছে। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্যপট দেখে আমি ও আমার পরিবারের সবাই মুগ্ধ। তবে রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে একটু খারাপ লাগছে। মনের মাঝে ঘুরে ফিরে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এত সুন্দর একটা জায়গার যোগাযোগ ব্যবস্থা এত নাজুক কেন? জাফলং পিকনিক সেন্টারের মুক্তি স্ন্যাকসের কর্ণধার মরম আলী জানান, পর্যটকের সমাগম ভালই। আমাদের বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। তবে রাস্তাঘাট ভালো থাকলে আরো পর্যটকের সমাগম হতো। এফএ/পিআর

Advertisement