‘জীবনকে স্বপ্ন বানাও, আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করো!’ আঁতোয়া গ্রিজম্যানের জীবনের এটাই যেন মন্ত্র। সেই মন্ত্র শুধু মনে নয়, শরীরেও খোদাই করে রেখেছেন তিনি। হাতের উল্কিতেও লিখেছেন। এ কারণেই হয়তো শয়নে, স্বপনে, জাগরণে কিংবা যুদ্ধের ময়দানে- সব সময়ই আওড়ে চলেন এই শব্দগুলো। আধুনিক ফুটবলে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চির উচ্চতা খুব বেশি যথেষ্ট নয়। বরং তাকে বেঁটের তকমা সেঁটে বাতিলের দলে ফেলে দেওয়ার সব চেষ্টাই করেছিল ইউরোপের ক্লাবগুলো। তার ওপর শীর্ণকায় শরীরটাও কারণ ছিল উপেক্ষা করার জন্য। অথচ সেই গ্রিজম্যানই দুর্বল শরীরে গোটা ফ্রান্সের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। কী করে পারছেন? কীভাবে সামলাচ্ছেন? গ্রিজম্যান সেসব কথা এখনই বলতে চান না। বরং বলতে চান শুধুই ফাইনালের কথা। পর্তুগালের বিপক্ষে ফাইনালের আগে বলছেন, ‘ম্যাচ জেতা আমাদের দায়িত্ব। দেশের মানুষকে আনন্দ দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। ফ্রান্সের প্রতিনিধি হিসেবে এটাই আমাদের মুখ্য কাজ। সেই কাজটা ঠিকঠাক পালন করতে চাই ফাইনালের রাতেও। আশা করি, ফাইনালের রাতেও আমরা রূপকথার গল্প লিখব। মিষ্টি-মধুর গল্প লিখব।’ ফরাসি মানুষের ভালোবাসায় আপ্লুত গ্রিজম্যান। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, আমরা ছোট্ট ছোট্ট শিশু। যাদের আগলে রাখার কাজ গোটা দেশ করছে। দেশের মানুষদের জন্য তাই ১০০ ভাগ দিতে চাই। জানি, ফাইনাল ম্যাচে কৌশলের লড়াই হবে। তবে আমরা তৈরি। দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ১০ জুলাইয়ের রাতটা নিয়ে স্বপ্ন দেখছি। চাই স্বপ্ন ছুঁতে। আর কোনো কিছুই এই মুহূর্তে মনে রাখতে চাই না। রাখছিও না।’ আইএইচএস/এমএস
Advertisement