আগ্রাসন, আগ্রাসন, আগ্রাসন! তাঁর এই আগ্রাসী মেজাজ, প্রতিপক্ষের বুকে ভয়ের শিহরণ তৈরি করে। তার এই আগ্রাসী মেজাজ ঘুম কেড়ে নেয় তাদের। তার এই আগ্রাসী মেজাজ কখনও কখনও সব সীমা ভেঙে দেয়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কথাই বলা হচ্ছে এখানে। আগ্রাসী ফুটবলারের ‘মুখ’ বলা হয় যাকে, সেই তিনি যে এমন মোলায়েম কথার ছুরি চালাতে পারেন, এমন মিষ্টি ভাষায় কড়া কথা বলতে পারেন, এমন শান্ত স্বরে হুঙ্কার দিতে পারেন- কে জানত? জানত না বলে, বুঝত না বলেই কি ‘অন্যরকম’ শোনাচ্ছে রোনালদোর কথা-বার্তা? না, সত্যি সত্যিই ‘অন্য’ ভঙ্গিতে হুঙ্কার দিয়েছেন রোনালদো, ‘জানি, ফাইনালে ফ্রান্স ফেবারিট; কিন্তু ট্রফিটা আমরাই জিতব।’ ফাইনালে পৌঁছার পর সাহস তৈরি করতে হয় না। এমনিতেই চলে আসে। সুতরাং ফ্রান্সের মাটিতে দাঁড়িয়ে এতবড় কথা বলছেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। শেষ ১০ সাক্ষাতে পর্তুগালের বিপক্ষে ফ্রান্সই তো বাজিমাত করেছে। তথ্যটা মাথায় আছে তো? এমন প্রশ্ন শুনেও বিন্দুমাত্র উত্তেজিত হননি রোনালদো। উল্টো হিমশীতল স্বরে বলেছেন, ‘জানি, ফ্রান্স দেশের মাটিতে খেলছে। এও জানি, অতীতে ওদের বিরুদ্ধে আমাদের রেকর্ড কী। তবে আবার বলছি, আমরা এবার বাড়তি উৎসাহ নিয়ে মাঠে নামব। বাড়তি শক্তির প্রয়োগ করব। বলতে পারেন, অতীতের খারাপ ফলই আমাদের এবার বাড়তি কিছু দেওয়ার প্রেরণা জোগাচ্ছে।’ এখানেই থামেননি। রোনালদো আরও বলেছেন, ‘আমার কাছে এই ফাইনালের গুরুত্বটাই অন্যরকম। বরাবরই স্বপ্ন দেখেছি, দেশের হয়ে একদিন না একদিন বড় কোনও ট্রফি জিতব। ক্লাবের হয়ে অনেক ট্রফি জিতেছি। ব্যক্তিগতভাবে অনেক পুরস্কার পেয়েছি; কিন্তু দেশের জার্সি গায়ে ইউরো জেতার তৃপ্তিটাই অন্যরকমের হবে। ওই তৃপ্তিটা পেতে চাই।’রোনালদোর বিশ্বাস, শিরোপা স্বপ্নটা ছুঁয়ে ফেলা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করি, এই স্বপ্ন ছুঁয়ে ফেলা সম্ভব। আমার সতীর্থরাও তাই বিশ্বাস করে। দেশের মানুষও বিশ্বাস করে। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই ফাইনালের রাতে মাঠে নামব। মন বলছে, রোববার পর্তুগালের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।’ সত্যি এমন কথা, এমন সহজ স্বরে তিনিই বলতে পারেন! এজন্যই তো তিনি রোনালদো।আইএইচএস/এমএস
Advertisement