জাতীয়

জঙ্গি আতঙ্ক : রেলস্টেশনে যাত্রীদের তল্লাশি

গুলশানের আর্টিসান রেস্টুরেন্ট ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের  তল্লাশি করছে রেল পুলিশ।জানা গেছে, সারাদেশে জঙ্গি হামলা ও নাশকতা প্রতিরোধে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করেছেন তারা। কাউকে সন্দেহ হলেই তল্লাশি করা হচ্ছে। এর মধ্যে তরুণ ও যুবকদের বেশি তল্লাশি করা হচ্ছে।শনিবার কমলাপুর স্টেশনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঢাকায় আসা ট্রেনগুলোতে তল্লাশি করতে দেখা গেছে রেলওয়ে পুলিশকে।বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কমলাপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ জাগো নিউজকে বলেন, গুলশানসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কোনো জঙ্গি বা দুষ্কৃতকারী যাতে আসতে না পারে সেজন্যই  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।তিনি বলেন, যাকে সন্দেহ হচ্ছে তাকেই আমরা তল্লাশি করছি। তবে তরুণ ও যুবকদের বেশি তল্লাশি করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অবৈধ বা নাশকতামূলক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।তল্লাশির সময় কথা হয় রাজশাহী থেকে আসা আবির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ট্রেন থেকে নেমে গেটের বাইরে আসার পর আমার শরীর ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করেছে পুলিশ।উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশানে আর্টিসান রেস্তোরাঁয় গত শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে জঙ্গিরা বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি। এর মধ্যে জাপানি সাতজন, ইতালির নাগরিক নয়জন। অন্যজন ভারতীয়। এছাড়া শুক্রবার রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে মারা গেছেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। আর শনিবার সকালে সেনা অভিযানে নিহত হয়েছে পাঁচ সন্ত্রাসীসহ ছয়জন। ওই ঘটনায় আহতাবস্থায় আটক আর্টিসান রেস্তোরাঁর সহকারী বাবুর্চি জাকির হোসেন শাওন ৮ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।অপরদিকে ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহে টহলরত পুলিশের ওপর জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ সদস্য ও এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন।এসআই/এমএমজেড/পিআর

Advertisement