জাতীয়

চিড়িয়াখানায় রেকর্ডসংখ্যক দর্শনার্থী

এবারের ঈদে মিরপুর চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার প্রায় সোয়া লাখ দর্শনার্থী চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করেছেন। আজও (শনিবার) সকাল থেকেই দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে। ভেতরে বাইরে কোথাও তিলধারণের ঠাঁই নেই। প্রখর খরতাপে লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে দর্শনার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করছেন। গত তিনদিন ধরে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বাঘ, সিংহ, বানর, হরিণ, জিরাফ, জলহস্তি, কুমির, হাতি ও উট পাখিসহ প্রতিটি শেডের সামনে নারী, পুরুষ ও শিশুদের উপচেপড়া ভিড়। বিশৃঙ্খলা রোধে ভেতরে বাইরে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও চিড়িয়াখানার নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব পালন করছেন। চিড়িয়াখানার কিউরেটর এএসএম নজরুল ইসলাম আজ দুপুরে জাগো নিউজকে জানান, এবার ঈদে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সংখ্যা গত দু-চার বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গত বছরের তুলনায় এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি। তিনি আরো জানান, ঈদের দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার। শুক্রবার চিড়িয়াখানার ইজারদারদের হিসাবে (টিকিট গণনা) প্রায় এক লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে। ভিড়ের কারণে অনেকেই ধাক্কাধাক্কি করে বিনা টিকিটেই প্রবেশ করেছে। সে হিসাবে এক লাখের অনেক বেশি দর্শনার্থী এসেছিল। এর আগে ২০১৪ সালেও চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর ঢল নেমেছিল। তবে সে বছরের তুলনায় এবার ১০ থেকে ২০ হাজার বেশি দর্শনার্থী এসেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ঢাকা চিড়িয়াখানার একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সাধারণ সময়ে ঢাকা চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার দর্শনার্থী আসেন। শুক্রবার ছুটির দিনে এ সংখ্যা হাজার বিশেক পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ঈদের দিনগুলোয় দর্শনার্থীর সংখ্যা প্রায় দশ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা আরো জানান, চিড়িয়াখানায় প্রবেশপথের টিকিট বিক্রির সার্বিক দায়িত্ব ইজারাদারের। তাদের হিসাবে শুক্রবার প্রায় এক লাখ দর্শনার্থী এসেছিল বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়েছিল। ইজারাদাররা কখনও সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করেন না বলে তারা মন্তব্য করেন। রাজধানীর কাঁঠালবাগানের বাসিন্দা কবির হোসেন স্ত্রী, স্কুলপড়ুয়া দুই সন্তানকে নিয়ে শুক্রবার চিড়িয়াখানায় যান। তিনি জানান, এমন ভিড় তিনি কখনও দেখেননি। ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে সমর্থ হলেও অতিরিক্ত ভিড় থাকায় সন্তানদের সব প্রাণী দেখাতে পারেননি বলে জানান তিনি।এমইউ/এমএমজেড/পিআর

Advertisement