কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের অদূরে পুলিশের উপর হামলাকারী নিহত আবির রহমানের (১৯) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার থানার ওসি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার ভানী ইউনিয়নের ত্রিবিদ্যা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এসব তথ্য সংগ্রহ করে।নিহত আবির রহমান ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় পল্লী বিদ্যুতের একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে আবির ছিল সবার ছোট। বড় ভাই এবং বাবা ঢাকায় পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারির সঙ্গে জড়িত। অপর মেঝো ও সোঝো ভাই প্রবাসী। নিহত আবির প্রায় ৮ মাস আগে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা ছেড়ে যায়। আবিরের জন্মও ঢাকার বাসায়। ছোট বেলায় আবির ২/১ বার গ্রামের বাড়িতে আসলেও পরবর্তীতে আর কখনোই আসেনি। বাবা সিরাজুল ইসলাম কখনো জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি আসলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা কখনোই বাড়ি আসেনি। পুলিশের উপর হামলার পর গুলিতে কুমিল্লার দেবিদ্বারের আবির রহমান নিহত হয়েছে-এমন খবর এলাকাবাসী দেখতে পেলেও কেউ জানতো কে এই আবির। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে দেবিদ্বার থানা পুলিশ বাড়িতে যাওয়ার পরই গ্রামের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। নিহত আবিরের চাচা সহিদুল ইসলাম জানান, বাড়িতে পুলিশ আসার পরই জানতে পেরিছি আমার ভাতিজা আবির গুলিতে নিহত হয়েছে। বাড়ির সঙ্গে ওই পরিবারের তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। ভাই সিরাজুল ইসলাম বছরে ২/১ বার গ্রামে আসতেন, বাড়িতে তাদের কোনো ঘরও নেই। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিহত আবিরের গ্রামের বাড়ি থেকে মুঠোফোনে দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, বিকেলে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির ফোন পেয়ে আবিরের বাড়িতে ছুটে এসেছি। কিন্তু নিহত আবিরের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে গ্রামের বাড়ির স্বজনদের কোনো যোগাযোগ না থাকায় তারা আবির সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।কামাল উদ্দিন/এআরএ/এমএস
Advertisement