মন্ত্রিপাড়া হিসেবে পরিচিত রাজধানীর মিন্টো রোডে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আজ দুপুর থেকে হোটেল শেরাটন, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন, গোয়েন্দা কার্যালয় ও ইস্কাটনের সামনে দিয়ে মিন্টো রোডে প্রবেশের প্রতিটি রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিনা নোটিশে একসঙ্গে সবগুলো প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়ায় ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে বহু মানুষকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। অনেকটা পথ ঘুরে তবেই গন্তব্যে যেতে পারছেন তারা। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে এসব এলাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে ব্যারিকেড বসিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একাধিক পুলিশ সদস্য ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে পাহাড়া দিচ্ছেন। প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত ট্যক্সিক্যাব ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনকে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পায়ে হেঁটে যারা এসব রাস্তায় ঢুকছিলেন তাদেরও তল্লাশী করে তারপর ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল। শফিকুল ইসলাম নামে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য জানান, দুপুর দেড়টা থেকে মন্ত্রিপাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ও বিভিন্ন প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অবশ্য আরেক পুলিশ সদস্য জানান, গুলশান-২ এর হলি আর্টিজান হোটেলে জঙ্গি হামলার পরই দু’একটি প্রবেশপথ ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে গতকালও খোলা ছিল এমন কয়েকটি প্রবেশপথ আজ দুপুরে বন্ধ করে দেয়া হয়। রমনা থানার ঠিক বিপরীত দিকের রাস্তায় কর্তব্যরত এক উপ-পরিদর্শক জানান, পুলিশ কমিশনারের একটি মিটিং চলছে। মিটিংয়ের কারণে কি না সঠিক না জানলেও দুপুর থেকে সবগুলো প্রবেশপথে নিষেধ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা শাহিন আক্তার শুক্রবার দুপুরে স্ত্রী তাহমিনাকে নিয়ে হাতিরপুল ও রূপসী বাংলার সামনে দিয়ে আসার পথে তিন জায়গা দিয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধা পান। পরে কাকরাইল ঘুরে অফিসার্স ক্লাব, মিন্টো রোড ঘুরে মগবাজার যান। এ প্রতিবেদকের উপস্থিতিতে তিনি পুলিশকে যেতে দেয়ার অনুরোধ জানালে পুলিশ সম্ভব নয় বলে তাকে ফিরিয়ে দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স শাখার এডিসি মো. ইউসুফ জাগো নিউজকে জানান, গুলশানের ঘটনার পর থেকে মিন্টো রোড ও আশেপাশের প্রবেশ পথে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও অন্যান্য ভিভিআইপিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এ পথে যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। এমইউ/এনএফ/এমএস
Advertisement