গুলশানে জঙ্গি হামলার পর খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। কারণ জাতীয় ঐক্য ছাড়া আমরা এ দেশে থেকে জঙ্গি তথা সন্ত্রাস নির্মূল করতে পারবে না। তবে জামায়াত সঙ্গে থাকলে তা সম্ভব হবে না মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেকদিন পর খালেদা জিয়া একটি ভালো কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথাগুলো বলেন তিনি। অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, যারা গুলশানে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা বিপথগামী। আর বাবা-মা`র সান্নিধ্যহীন সন্তান বিপথগামী হতে পারে। তিনি বলেন, পিতামাতা ও স্বজনদের উচিত সবসময় সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখা।ঈদের নামাজের পর শাহী ঈদগাহের নতুন মিনারটি অর্থমন্ত্রীর উদ্বোধনের কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে সেটি পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান শাহী ঈদগাহের মোতাওয়াল্লী জহির বখত।সকাল সাড়ে ৮টায় নগরের শাহী ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।প্রসঙ্গত, ৩ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গুলশান হামলার পর এক সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন।এছাড়া, সিলেট জেলা প্রশাসক কালেক্টরেট মাঠে, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ, ডাক বাংলা রোডের নবাবী জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত। দারুস সালাম মাদরাসায় ৮টায় ও জামেয়া মাদানীয়া কাজির বাজার মাদরাসায় সাড়ে ৭টায়। দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ঈদগাহ ময়দানে সকাৃল ৯টায়। নগরের পশ্চিম পীরমহল্লা জামেয়া গৌসুল উলুম মাদ্রাসায় পৌনে ৮টায়, কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সাড়ে ৭টায়, সাড়ে ৮টায় ও ৯টায় ঈদের তিনটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।সিলেটে প্রতিটি ঈদ জামাতই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়। ঈদ জামাত শেষে ইমামগণ দেশের শান্তি ও জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে মোনাজাত করেন। খুতবার বক্তৃতায় আলেমগণ বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই।ছামির মাহমুদ/জেএইচ
Advertisement