খেলাধুলা

রোনালদো বনাম বেল

এবারের ইউরোতে ভাগ্যকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে পর্তুগাল। ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে এখনো জয় পায়নি তারা। ২৪ দলের ইউরো না হলে নকআউটই খেলা হতো না তাদের। অথচ সে দলই খেলছে সেমিফাইনালে। অপরদিকে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুর্বার ওয়েলস। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্বে পা রাখে তারা। দুরন্ত পারফরম্যান্স করা ওয়েলস এবার মুখোমুখি হচ্ছে ভাগ্যবান পর্তুগিজদের। আজ বুধবার দিবাগত রাত একটায় ফ্রান্সের লিয়ঁতে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মোকাবেলা করবে দল দুটি।পর্তুগাল-ওয়েলসের এ লড়াইটার মর্যাদা আরও বেড়েছে দুই বন্ধুর লড়াইয়ে। বন্ধুরা যখন শত্রু এমন শিরোনাম নিয়েই আলোচনা চলছে ফুটবল পাড়ায়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও গ্যারেথ বেল দুই জনই খেলেন স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। মাদ্রিদের মর্যাদারক্ষার দায়ভার কাঁধে নিয়ে পাশাপাশি ছোটেন এ দুই তারকা। তবে একে অনেকেই দেখছেন আমেরিকা-রাশিয়ার লড়াইয়ের মতো। সরাসরি না বললেও দুই জনের মধ্যেই ঠান্ডা যুদ্ধ লেগে আছে। ইতোমধ্যেই পর্তুগাল-ওয়েলসের লড়াই নিয়ে চলছে নানা বাক-বিতর্ক। ফুটবল পারায় চলছে এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা। জিতবে কে? ফাইনালে উঠবেন কোন মহারথী? সরাসরি রোনালদোদের পক্ষ নিয়েছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুই ফিলিপ স্কোলারি। স্টেইচকভ আবার রসিকতা করে বলেছেন, বেল জিতলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচনের কাজটা কঠিন হয়ে যাবে। ম্যাচের আগে গ্যারেথ বেল বলেন, ‘ফুটবলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক বলে কিছু নেই। এগারো জনকে সমানতালে লড়াই করে জয় তুলে আনতে হয়। ম্যাচটা কিন্তু ওয়েলস বনাম পর্তুগাল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বনাম গ্যারেথ বেল নয়। এটা তো আলাদা করে বলে দেওয়ার কিছু নেই যে ফুটবল মানে এগারো বনাম এগারোর খেলা।’রিয়াল মাদ্রিদে অভিষেকের পর থেকে খুব একটা সুখে নেই বেল, এটা ফুটবলের কম বেশি সবাই জানেন। তবে বেল যত যাই বলুক, দিনশেষে ফুটবল অনুরাগীরা বসে আছেন দুই বন্ধুর লড়াই দেখতে। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কেমন আচরণ করেন তা দেখারও। এর আগে ২০০৬ জার্মান বিশ্বকাপে তার তৎকালীন সতীর্থ ওয়েন রুনিকে সামান্য ছাড় দেননি রোনালদো। রোনালদোর কারণেই লঘু পাপ করেও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রুনি। এরপর রোনালদো ম্যানচেস্টারে খেললে দল ত্যাগ করবেন এমন ঘোষণাই দিয়েছিলেন রুনি। যদিও পরবর্তীতে ফার্গুসনের বিচক্ষণতায় পরে সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।আরটি/এনএফ/পিআর

Advertisement