হঠাৎ করেই কমে গেছে রাজধানীতে ফলের আমদানি। আর সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে মুসলমানদের পবিত্র মাহে রমজান। একদিকে ফলের আমদানি কম অন্যদিকে রমজানে ফলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায় বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন ফলের দাম। আমদানি–রপ্তানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী দাবী করছেন ফরমালিন বিরোধী অভিযানে হয়রানি ও লোকসানের ভয়ে অনেকে ফল আমদানির আদেশ বাতিল করেছেন। এ কারণে কয়েকদিন পর ফলের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। আর এর ফলে দাম হয়ে উঠতে পারে চড়া।ব্যবসায়ীরা জানান, বছরজুড়ে দেশে ৪০ থেকে ৪২ হাজার মেট্রিকটন খেজুর আমদানি করা হয়। এর মধ্য শুধু রমজানকে সামনে রেখে আমদানি করা হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন। চলতি মাসেই ৩ হাজার মেট্রিক টন খেজুর ও ২ হাজার মেট্রিক টন আপেল, কমলা, মাল্টাসহ তাঁজা ফলের এলসি বাতিল করা হয়। নুতন করে এলসি করলে সেই ফল বাজারে আসতে ৩৫ থেকে ৪০ দিন সময় লাগবে। এর মধ্যেই রোজা শেষ হয়ে যাবে। এই অবস্থা বাজার চড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আড়ৎদাররা।ঢাকা মহানগর ফল আমদানি–রপ্তানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, ফরমালিন বিষয়ে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। তাই লোকসানের ভয়ে আমদানিকারকরা চলতি মাসে ৫ হাজার মেট্রিকটন ফলের এলসি বাতিল করেছেন। দেশে ফরমালিনের অপব্যবহার রোধে সরকারের নেওয়া কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত ব্যবসায়ী ও চাষীদের প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আবার ৫ হাজার মেট্রিকটন ফলের এলসি বাতিল করায় প্রায় ২৫ কোটি টাকার ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।জানা যায়, এবার তিউনেশিয়া, আলজেরিয়া, সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে খেজুর আমদানি করা হয়। সবচেয়ে বেশি খেজুর এসেছে ইরাক থেকে। আর ইরাকি জায়েদী খেজুর কেজি প্রতি ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আজুয়া ও মাগরুম ১ হাজার টাকা, দাবাস ১০০ টাকা, নাগাল ১২০ টাকা, তিউনেশিয়ার খেজুর ৫০০ টাকা ও আলজেরিয়ার খেজুর ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement