জাতীয়

নিহত হওয়ার আগেও বন্ধুদের প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন ফারাজ

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ হোসেন (২০) নিহত হয়েছেন। তাকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল জঙ্গিরা। কিন্তু সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অবিন্তা কবীর এবং ভারতীয় তরুণী তারুশি জৈনকে ছেড়ে দেয়ার জন্য জঙ্গিদের অনুরোধ করেন ফারাজ। বন্ধুদের সঙ্গে না নিয়ে যাবেন না বলে জানান ফারাজ। এজন্য জঙ্গিরা তাকে আটকে রাখে। নিহত হওয়ার আগেও জঙ্গিদের কাছে বন্ধুদের প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন ফারাজ। শনিবার সকালে সেনা অভিযানে ফারাজ এবং তার দুই বন্ধুর লাশ উদ্ধার করা হয়। হামলার সময় রেস্টুরেন্টে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী এ তথ্য জানিয়েছেন। ফারাজের ভাই জারাইফ হোসেন জানান, ওই দুই নারীকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায় জঙ্গিরা। ফারাজ তাদের ছেড়ে আসতে চায়নি। হয়তো এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।ফারাজ অক্সফোর্ড কলেজ অফ ইমোরি ইউনিভার্সিটি থেকে এ বছর স্নাতক অর্জন করেন। তিনি ইমোরির গইজুয়েটা বিজনেস স্কুলের ছাত্র ছিলেন। তিনি মে মাসের ১৮ তারিখ গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ঢাকায় এসেছিলেন। দুই বন্ধুকে নিয়ে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে নৈশভোজে অংশ নিতে গিয়েই নিহত হন ফারাজ। এদিকে জঙ্গি হামলায় নিহত তারুশি জৈনের মরদেহ দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। সেখান থেকে তারুশির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ফিরোজাবাদে। সেখানেই হবে শেষ কৃত্যানুষ্ঠান। টিটিএন/পিআর

Advertisement