জাকাত আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ফরজ ইবাদত। যারা নিসাব পরিমাণ মালের অধিকারী আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য জাকাত আদায় করাকে ফরজ করেছেন। জাকাতের ফরজিয়ত আদায়ের পাশাপাশি এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য অনেক উপকার নিহিত রেখেছেন, যা তুলে ধরা হলো-১. জাকাত গ্রহণ করার উদ্দেশ্য সম্পদ জমা করা এবং ফকির ও অভাবগ্রস্তদের উপর খরচ করাই শুধু নয়; বরং প্রথম লক্ষ্য হলো মানুষ যাতে সম্পদ থেকে নিজেকে ঊর্ধ্বে রাখতে পারে। সে যেন সম্পদের মালিক হয়, গোলাম না হয়। আর এ জন্যই জাকাত গ্রহীতা দাতাকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করে।২. জাকাত যদিও বাহ্যিকভাবে সম্পদের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। প্রকৃত পক্ষে জাকাতের প্রভাবে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, বরকত হাসিল হয় ও জাকাত আদায়কারীর অন্তরে ঈমান বৃদ্ধি পায়। আর তার সুন্দর চরিত্র বৃদ্ধি পায়; যার ফলে খরচ ও দান করে। নফসের ভালোবাসার জিনিসের চেয়েও ঊর্ধ্বে থেকে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের জন্য খরচ করে। আল্লাহ ভালোবাসা অর্জনে মানুষ পরকালের সফলতা লাভ করে।৩. জাকাত মানুষের পাপরাজিকে মিটিয়ে দেয়। আর তা জান্নাতে প্রবেশ এবং জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতির কারণও বটে।৪. আল্লাহ তাআলা জাকাতকে বিধি-বিধান করেছেন এবং তা আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান করেছেন; কারণ জাকাত নফসকে অর্থের কার্পণ্য ও স্বার্থ থেকে পবিত্র করে। ইহা ধনী ও গরিবের মাঝের শক্তিশালী এক সেতুবন্ধন তৈরি করে। এর দ্বারা আত্মা পরিচ্ছন্নতা লাভ করে এবং অন্তরে প্রশান্তি আসে।৫. জাকাত তার আদায়কারীর নেকি বাড়িয়ে দেয় এবং সম্পদকে বিপদ-আপদ থেকে হেফাজত করে, ফল দান করে, সম্পদ বৃদ্ধি করে, ফকির-মিসকিনদের অভাব পূরণ করে, অর্থনীতি অপরাধ তথা চুরি, লুটপাট ও ডাকাতি-জবরদখল ইত্যাদি থেকে সমাজকে রক্ষা করে।সুতরাং প্রত্যেক সম্পদশালী ব্যক্তির উচিত, নিসাব পরিমাণ মালের জাকাত প্রদান করা। যাতে নিজের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ অর্জিত হয় এবং আল্লাহর বিধানের যথাযথ বাস্তবায়ন হয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জাকাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement