জাতীয়

ন্যাড়া মাথার লোকটি আসলে কে?

গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে অবস্থানকারী ন্যাড়া মাথার লোকটির প্রকৃত পরিচয় কি? সে কি হোটেলে আটকে পড়া জিম্মি, নাকি হামলাকারী জঙ্গিদের একজন? জিন্স প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিহিত ওই মধ্যবয়সী লোকটিকে কখনও রেস্টুরেন্টের ভেতর অস্ত্র হাতে, কখনও জঙ্গিদের সঙ্গে ছাদে দূমপানরত আবার কখনও আটক জিম্মিদের সঙ্গে করে রেস্টুরেন্টের বাইরে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। আর্টিসান রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন একটি ভবন থেকে এক কোরিয়ান ব্যক্তির ধারণকৃত ভিডিওতেও তাকে অস্ত্র হাতে রেস্টুরেন্টের গেটে অবস্থান করতে দেখা গেছে। পুলিশ সমন্বিত বাহিনীর অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গির ফটোগ্রাফ প্রকাশ করেছে। সেখানে তার ফটোগ্রাফ নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ন্যাড়া মাথার লোকটি কোথায় উধাও হয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলা হয়েছে জঙ্গিদের সঙ্গে তার যোগসাজশ না থাকলে তাকে ওইভাবে দেখা যেতো না। প্রশ্ন উঠেছে জিম্মি হয়ে থাকা হিজাব পরিহিত কয়েকজনের সঙ্গে সেও জিম্মি পরিচয়ে বাইরে বেরিয়ে গেছে। এছাড়া জঙ্গি হিসেবে পুলিশ যে পাঁচজনের ফটোগ্রাফ প্রকাশ করেছে, তাদের মধ্যে একজন আর্টিসান রেস্টুরেন্টের শেফ বলে দাবি করা হচ্ছে। আজ রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া জিম্মি ও উদ্ধার অভিযান নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়। বেশির ভাগ মানুষের মনে প্রশ্ন সেদিন রাতে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে রেস্টুরেন্টে কতজন উপস্থিত ছিলেন। আইএসপিআর এক সংবাদ সম্মেলনে ২০ জন বিদেশি নাগরিক নিহত, হামলাকারী ৬ জঙ্গির মৃত্যু ও জীবিত ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এ হিসাবে ৩৯ জনের হিসাব পাওয়া যায়। বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন স্পেনিশ ওই রেস্টুরেন্টে কতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন। তাদের কেউ কেউ হামলাকারীরা রেস্টুরেন্টে প্রবেশের পর পালিয়ে আসতে সমর্থ হন। সে সংখ্যা আসলে কতো। উদ্ধারকৃত ১৩ জনের মধ্যে রেস্টুরেন্টের কয়জন ছিলেন। এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।এমইউ/জেএইচ/এমএস

Advertisement