অবশেষে বড় কোন টুর্নামেন্টে ইতালিকে হারাতে পারলো জার্মানি। ইতালি যেন ছিল জার্মানির জন্য একটি খাঁড়ার নাম। অবশেষে ইউরোর শেষ আটে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকার শেষে আজ্জুরিদের হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিলো জার্মানি। ১২০ মিনিটের খেলা শেষে ট্রাইব্রেকারে গড়ালেও ম্যাচটিতে প্রতি দল নিল ৯টি করে শট। ইতালি মিস করলো ৪টি এবং জার্মানি মিস করলো ৩টি। শেষ পর্যন্ত জয় জার্মানির।১-১ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিলেও আজ্জুরিদের মাথা উঁচুই থাকবে বলে বিশ্বাস করে লিওনার্দো বনুচ্চি। জার্মানির সঙ্গে যেভাবে লড়াই করেছে ইতালি, তাতে নিজেদের গর্বিতই মানছেন তিনি। এমনকি এই বনুচ্চির গোলেই ৭৮ মিনিটে সমতায় ফিরেছিল ইতালি।মাঠে নামার আগেই জার্মান কোচ জোয়াকিম লো বলেছিলেন, ‘আমরা ইতালিকে নিয়ে স্টাডি করছি।’ তবে সেই স্টাডির খুব বেশি প্রয়োজন ছিল না। কারণ ইনজুরির কারণে ইতালি একাদশে পায়নি ড্যানিয়েল ডি রসিকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারেনি থিয়াগো মোত্তা। এমন ভঙ্গুর দল নিয়ে জার্মানির গোলমুখে যে কার্যকর কোন আক্রমণ পরিচালনা করবেন আন্তোনিও কন্তে- সেটা হয়ে ওঠেনি।মেসুত ওজিলের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল জার্মানি। কিন্তু ইতালির চাপের মুখে সেই গোল আর ধরে রাখতে পারেনি জার্মানি। ৭৮ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় আজ্জুরিরা। সেখান থেকে স্পট কিকে গোল করেন লিওনার্দো বনুচ্চি। সেই তিনিই কি না আবার টাইব্রেকারে স্পট কিক মিস করেন। এ কারণেই তিনি মনে করেন হেরেও ইতালি গর্বিত। বোনুচ্চি বলেন, ‘আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ১২০ মিনিট সমানে সমানে লড়েছি। শেষ পর্যন্ত মাথা উঁচু করেই বিদায় নিচ্ছি। এই দলের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।’টাইব্রেকার নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে তার। তিনি ব্যাপারটিকে ভাগ্যের খেলা হিসেবেই দেখছেন। বোনুচ্চি বলেন, ‘টাইব্রেকার হচ্ছে লটারি। আজ জার্মানি আমাদের চেয়ে ভুল একটু কম করেছে বলেই ওরা জয়ী।’ নিজের টাইব্রেকার মিস নিয়ে আরও বেশি আক্ষেপ বোনুচ্চির মনে। তিনি বলেন, ‘ম্যানুয়েল নয়্যার আমাকে এভাবে বুঝে ফেলল! তবে এটাও ঠিক, আমি শটটা আরও ভালো নিতে পারতাম।’আইএইচএস/পিআর
Advertisement