ইতালির সঙ্গে জার্মানির ফুটবলীয় শত্রুতাটা বহু পুরনো। এখন পর্যন্ত কোন টুর্নামেন্টে ইতালিকে হারাতে পারেনি জার্মানি। এই ইউরোতেই শেষবারের মোকাবেলায় জার্মানিকে চোখের জলে বিদায় করে দিয়েছিল আজ্জুরিরা। দু’দলের ঝুলিতে রয়েছে চারটি করে বিশ্বকাপ। তাই অনেকটা ফাইনালের আমেজই পাওয়া যাবে এ দুদলের কোয়ার্টার ফাইনাল লড়াইয়ে। সেমিফাইনালে ওঠার মিশনে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মুখোমুখি হবে দুদল। ১১ জন ফুটবলারের ১টি করে হলুদ কার্ড থাকায় একটু চিন্তাতেই থাকতে হচ্ছে ইতালির কোচ কন্তেকে। কেননা এই ম্যাচে সেই ১১ জনের কেউ হলুদ কার্ড খেলেই সেমিতে খেলতে পারবেন না। তার উপর ডি রসির ইনজুরির কারণেও তাকে পাচ্ছে না বুফনরা। ইনজুরি কিংবা কার্ডের খড়গ থাকলেও ইতিহাস আশা যোগাচ্ছে ইতালিকে। যে কোন টুর্নামেন্টে জার্মানির সঙ্গে ৮ বারের মোকাবেলায় ৪ বারই জয়ের স্বাদ পেয়েছে আজ্জুরিরা বাকি ৪টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। ইতালির ডিফেন্সটাও বেশ পোক্ত। চিয়েল্লিনি, বার্জাঘলি এবং বনুচ্চিকে নিয়ে গড়া ইতালির ডিফেন্স ভাঙতে বেশ বেগ হতে হচ্ছে দলগুলোকে। আবার ইউরোর ইতিহাসে তারাই সবথেকে বেশি ১৯টি ম্যাচে গোল না খেয়ে ছিল। গোলবারের নিচে চিরতরুণ বুফন তো আছেনই। দুই গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা পেলে। এছাড়া গিয়াচিরিন্নি, মোত্তারাও রয়েছেন ফর্মে। কোয়ার্টারে নিজেদের মেলে ধরতে পারলে অচিরেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে তারা। ইতালির থেকেও বর্তমানে বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছে জার্মানি। ইতিহাস নিজেদের পক্ষে না থাকলেও বর্তমান ফর্মই অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে ইয়োকিম লো শীষ্যদের। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থেকে কোয়ার্টারে উঠেছে তারা। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত এক গোলও হজম করেনি তারা। নকআউট রাউন্ডে স্লোভাকিয়াকে তো একরকম উড়িয়ে দিয়েছে তারা। দুদলের শেষ মুখোমুখিতে হাসি জার্মানির মুখেই। চলতি বছরেই ইতালিকে এক প্রীতি ম্যাচে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল নয়্যাররা। এছাড়া এ ম্যাচে আলাদা নজর থাকবে মারিও গোমেজের উপর। আর এক গোল করেলি ক্লিনসম্যানকে টপকে ইউরোতে জার্মানির হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হবেন তিনি। তবে থমাস মুলারের গোল না পাওয়াটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গোৎসেদের। দলের খেলোয়াড়রা ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ইউরোর অন্যতম সেরা ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে বোর্দো স্টেডিয়ামে। আরআর/এবিএস
Advertisement