স্বজনদের. সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পথে পথে নানা দুর্ভোগ মাড়িয়ে ঈদে বাড়ি ফিরে ঘরমুখো মানুষ। টিকিটপ্রাপ্তি থেকে শুরু করে বাড়ি পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে সব সময়ের অভিযোগ ছিলো যাত্রীদের।প্রতি বছর ঈদে বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনের টিকিট কাটা থেকে শুরু করে অতিরিক্ত ভিড়, শিডিউল বিপর্যয়, স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার ঘটানা ছিলো ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের কাছে একদম চিরচেনা।তবে এই চিরচেনা রূপের পরিবর্তে এ বছর দেখা গেছে কমলাপুর স্টেশনে ভিন্ন চিত্র। দ্বিতীয় দিন কমলাপুর থেকে ঈদে বাড়ি ফেরা ট্রেনযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৯ দিনের লম্বা ছুটি পেয়েছেন। পাশাপাশি বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকে এ সুবিধা পেয়েছেন। ফলে ইতোমধ্যে রাজধানী ছেড়ে চলে গেছে বহু মানুষ।এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ছুটি বেশি হওয়ায় সবাই এবার আগেভাগে চলে যাচ্ছেন, ইতোমধ্যে চলে গেছেন অনেকে। অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং গার্মেন্টস ছুটি হলে শেষ দিকে কিছুটা চাপ হতে পারে। তিনি আরো বলেন, যাত্রী ভোগান্তি এড়াতে আমরা ট্রেনের সময়সূচি সার্বিকভাবে ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। যাত্রীরা যেভাবে সারিবদ্ধ হয়ে অগ্রিম টিকিট কেটেছেন, ঠিক তেমন সুশৃঙ্খল থাকলে সবাই ট্রেনে সুন্দরভাবে যাত্রা করতে পারবেন।শনিবার কমলাপুর স্টেশন ঘুরে যাত্রীদের তেমন একটা ভিড় চোখে পড়েনি। তবে সকালের ট্রেনের মধ্যে রাজশাহীগামী ধুমকেতু, খুলনাগামী সুন্দরবনসহ উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়।শনিবার (২ জুলাই) ট্রেনে বাড়ি ফেরার জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অগ্রিম টিকিট কাটতে হয়েছিলো গত ২৩ জুন। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী নাহিদুল হাসান বলেন, সরকারি ছুটি বেশি দিনের হওয়ায় অন্যবারের তুলনায় এবার স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় অনেক কম, ট্রেনও সময় মত ছেড়ে যাচ্ছে বলে শুনেছি।তিনি বলেন, এবার ঈদে বিড়ম্বনা কম থাকলেও অন্যবার ট্রেন যাত্রায় খুব ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তারপরও কর্মব্যস্ত নগরী, ক্লান্তিকর জীবন থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটা দিন প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফেরা হয়। এতে যতই ভোগান্তি হোক খুব বেশি কষ্টও আর কষ্ট মনে হয় না।কমলাপুর রেলওয়ে থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে রেল পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও অনেকে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ট্রেনেও পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।এএস/এমএমজেড/এবিএস
Advertisement