খেলাধুলা

বেলজিয়ামকে উড়িয়ে সেমিতে ওয়েলস

প্রথমবারের মতো খেলতে এসেই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠে গেছে গ্যারেথ বেলের ওয়েলস। শুক্রবার ইউরোপের সেরা দল বেলজিয়ামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর শেষ চার নিশ্চিত করে ৫৮ বছর পর বড় কোনো প্রতিযোগিতায় খেলতে আসা দলটি। শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ রোনালদোর পর্তুগাল।    ফ্রান্সের লিলেতে ম্যাচের ৭ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ নষ্ট করে বেলজিয়াম। কিন্তু রোমেলু লুকাকুর দারুণ ক্রস ছয় গজ দূরে ফাঁকায় পেয়েও গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন মিডফিল্ডার ইয়ানিক কারাসকো। তবে ম্যাচের ১৩ মিনিটে রাদিয়া নাইনগোলানের অসাধারণ এক গোল করে বেলজিয়ামকে লিড এনে দেন। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে আচমকা বিদ্যুৎ গতির শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এএস রোমার এই মিডফিল্ডার।ম্যাচের ২৬ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো ওয়েলস কিন্তু মিডফিল্ডার নেইল টেইলরের নেওয়া জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাত দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক থিবো করতোয়া। ম্যাচের ৩১ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত সমতাসূচক গোল পেয়ে যায় ওয়েলস। অ্যারন রামসির কর্নারে হেডে বল জালে জড়ান অরক্ষিত উইলিয়ামস। ফলে ১-১ গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।বিরতি থেকে ফিরেই আবারো গোলের সুযোগ নষ্ট করেন বেলজিয়ামের লুকাকু। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে অরক্ষিত লুকাকুর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।  পরের দুই মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইন ও হ্যাজার্ডের জোরালো শট ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে চলে গেলে গোল বঞ্চিত হয় দলটি। তবে ম্যাচের ৫৫ মিনিটে অসাধারণ নৈপুণ্যে ওয়েলসকে এগিয়ে নেন কানু। র্যা মজির লম্বা ক্রস পেনাল্টি স্পটের কাছে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুপাশে থাকা প্রতিপক্ষের দুজনের মধ্যে দিয়ে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে বাঁ-পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই ফরোয়ার্ড। আর ৮৫ মিনিটে দারুণ এক হেডে গোল করে বড় জয় নিশ্চিতের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস গড়ে সেমি ফাইনালে নিশ্চিত করে প্রথমবারের মতো খেলতে দলটি। এদিকে পরপর দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়ায় ফাইনালের ওঠার লড়াইয়ে ওয়েলসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রামসিকে পাবে না তারা।এমআর/আরআইপি

Advertisement