রিকার্ডো কোয়ারেসমার পেনাল্টি শটে নিষ্পত্তি হয়ে গেল ম্যাচের ভাগ্য। পোলিশ দুর্গকে রুখে দিয়ে ইউরোর সেমিতে পা রাখলো রোনালদোর পর্তুগাল। টাইব্রেকারে রোনালদোদের জয় ৫-৩ গোলে। এই নিয়ে শেষ পাঁচটি ইউরো কাপের চারটিতেই সেমিফাইনালের মুখ দেখে পর্তুগাল। এ ম্যাচেও কোন গোল পাননি। সেমিতে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ওয়েলস অথবা বেলজিয়াম।ফ্রান্সের মার্শেইতে শুরু থেকে দুদলের আক্রমণাত্মক খেলায় উপভোগ্য হয়ে ওঠে ইউরোর প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল। পর্তুগালকে চমকে দিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগে ম্যাচের ২ মিনিটে আচমকা এক আক্রমণ থেকে গোল করে পোল্যান্ডকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন লেভেন্ডোফস্কি। এটিই এবারে ইউরোতে বায়ার্ন স্ট্রাইকারের প্রথম গোল। গোল খেয়েই যেন গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে পর্তুগাল। একের পর এক আক্রমণ করতেই থাকে রোনালদো-নানিরা। অবশেষে ৩৩ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেল পর্তুগাল। নানির ব্যাক পাস থেকে বা পায়ের দুর্দান্ত প্লেসিং শটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সদ্যই বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়া রেনাতো সানচেজ। মাত্র ১৮ বছর ৩১৭ দিন বয়সে ইউরো মঞ্চে গোল করলেন তিনি। ইউরোর ফুটবল ইতিহাসে সানচেজই তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার। প্রথমার্ধে আর কোন গোল না হলে বিরতি থেকে ফিরেই এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নামে দুদল। ৬৮ মিনিটে মিলিককে গোলবঞ্চিত করেন পর্তুগিজ গোলকিপার রুই প্যাট্রিসিও। দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময়টা আর কোন গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও বলার মত কোন দল গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম শটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রোনালদো। পোল্যান্ডের হয়েও প্রথম গোলটি করেন লেভান্ডোফস্কি। পর্তুগালের হয়ে যথাক্রমনে রেনাতো সানচেজ, মৌতিনহো এবং নানি চতুর্থ শট পর্যন্ত গোল করেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শটে পোল্যান্ড গোল পেলেও ব্লাজসিভোস্কির করা চতুর্থ শটটি রুখে দেন পর্তুগালের গোলকিপার রুই প্যাট্রিসিও। পঞ্চম শটে পর্তুগালের হয়ে গোল করে দলের সেমিতে ওঠা নিশ্চিত করেন রিকার্ডো কোয়ারেসমা। আরআর/পিআর
Advertisement