দারিদ্র্য বিমোচন ও স্বাস্থ্য খাতে আলাদা দুটি প্রকল্পে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তি দুটিতে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব কাজী সফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর জাহিদ হোসেন স্বাক্ষর করেন।বিশ্বব্যাংক কর্তৃক সহজ শর্তে এ দুটি চুক্তির মধ্যে হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে ১৫ কোটি এবং লো-ইনকাম কমিউনিটি হাউজিং সাপোর্ট শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে বাকি ৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে, যা ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধযোগ্য। অর্থের উপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ (০.৭৫) হারে সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে।ইআরডির অতিরিক্ত সচিব কাজী সফিকুল আযম বলেন, এই চুক্তির মধ্যে দিয়ে বৈদেশিক সহায়তা ১ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতির চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। এটি অনেক বড় অর্জন। কিন্তু নেগোশিয়েশন হয়েছে ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।তিনি আরো বলেন, শহরগুলো এখন জিডিপিতে ৮০ শতাংশ অবদান রাখছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে নগর দারিদ্র্য। নগরের আবাসন সমস্যা সমাধান এবং দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংক এ সহায়তা দিচ্ছে।চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হেলথ সেক্টর অর্থায়ন হিসাবে এ অর্থ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে, জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়ন এজেন্ডা এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রস্তুতকৃত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যসমূহ অর্জন ত্বরান্বিত করা, স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা এবং স্বাস্থ্য সেক্টরের আধুনিকায়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া লো- ইনকাম কমিউনিটি হাউজিং সাপোর্ট প্রজেক্টটি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। জাতীয় গৃহায়ণ ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন এটি বাস্তবায়ন করবে।প্রকল্পটির প্রাক্কলিত মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে। অবশিষ্ট ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করবে। ২০১৬ সাল হতে ২০২০ সাল নাগাদ এর বাস্তবায়ন শেষ হবে। এমএ/আরএস/পিআর
Advertisement