দীর্ঘদিন সতীর্থ ছিলেন তারা দু’জন। একে অপরের পরিপূরকও বলা হতো মেসি এবং দানি আলভেজকে। কারণ, রাইট উইং দিয়ে বল নিয়ে উপরে উঠে এসে মেসিকে কত যে গোলের বল বানিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্ডার তার কোন ইয়ত্তা নেই। সেই আলভেজ, মাত্রই সম্পর্কের সুতো ছিন্ন করলেন মেসিরদের সঙ্গে। কারণ, বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেছে তার। ইচ্ছা করেই আর নবায়ন করেননি। নাম লিখিয়েছেন ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্তাসে।ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কের সুতো ছিন্ন হতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্ক তো আর কেটে যেতে পারে না। সুতরাং কোপার ফাইনালে হেরে হঠাৎ মেসির জাতীয় দল থেকে অবসর ঘোষণায় মর্মাহত হয়েছেন দানি আলভেজও। অন্যরা যখন একের পর এক মেসিকে ফিরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছেন, তখন আলভেজ বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘কোন কিছুই মেসির গ্রেটনেস কমাতে পারবে না।’চারটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছেন মেসি। সর্বশেষ টানা তিনটি ফাইনাল। একটিও জিততে পারলেন না। এমনকি সর্বশেষ কোপা আমেরিকার ফাইনালে এসেও টাইব্রেকারের শট নিতে গিয়ে মিস করেন মেসি। এ কারণে সমালোচকরা মেসিকে সেরার খেতাব দিতে রাজি নয়। তারা প্রশ্ন তোলেন, যার নামের পাশে একটিও আন্তর্জাতিক শিরোপা নেই, তিনি কীভাবে সর্বকালের সেরা হতে পারেন!কিন্তু দানি আলভেজ কোনভাবেই একমত হতে রাজি নন সমালোচকদের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে না পারলেও আমার মনে হয়, কোন কিছুই মেসির শ্রেষ্ঠত্ব কমাতে পারবে না। তিনি নিজে জানেন, ফুটবলে তিনি কতবড়।’মেসির বন্ধু হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন আলভেজ। তিনি বলেন, ‘তার বন্ধু হতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তিনি এমন এক মানুষ যাকে সবাই সম্মান করে। তাকে অপছন্দ করে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম।’২০০৭ কোপা আমেরিকার ফাইনালে আলভেজের গোলেই আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল ব্রাজিল। সেই থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবলের ফাইনালে কুফা লেগেছে মেসির। তবে এক বছর পরই বার্সায় যোগ দেন আলভেজ এবং মেসির সঙ্গে মিলে জিতেছিলেন ২৫টি ট্রফি।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement