ব্রেক্সিট ভোটের পর দ্বিতীয় বারের মত ব্রাসেলস সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। ব্রেক্সিট ভোটের ফলাফলের পর ইইউ নেতারা এর আগেও আরো একটি সম্মেলনে অংশ নেন। কিন্তু এবার ক্যামেরনকে ছাড়াই সম্মেলনে যোগ দেবেন ইইউয়ের বাকি ২৭ নেতা। খবর বিবিসির।গত সপ্তাহেই ব্রেক্সিট ভোটের আয়োজন করে ব্রিটেন। গণভোটে ইইউ ছাড়ার পক্ষেই বেশি ভোট পড়ে। ৫২ শতাংশ মানুষ ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের পক্ষে ভোট দিয়েছে।এর আগে মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ নেতাকে বলেছিলেন, ভবিষ্যতে ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউয়ের সম্পর্ক যেমনই থাকুক না কেন বাণিজ্য এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। তবে ইইউয়ের নেতারা ব্রিটেনকে দ্রুত ইইউ ছাড়ার জন্য তাড়া দিচ্ছে। তাদের দাবী ব্রিটেনের ইইউ ছাড়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘ করা উচিত নয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন অক্টেবরে পদত্যাগ করবেন বলেও যে ঘোষণা দিয়েছেন তা নিয়ে ইইউ নেতারা বলছেন, ক্যামেরনের পদত্যাগ পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনো মানেই হয় না। ব্রিটেনকে দ্রুত বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এদিকে, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, ব্রেক্সিট ভোটের ফলাফলকে সম্মান দেখানো উচিত। ব্রিটেনকে ইইউ ছাড়ার জন্য তাড়া দেয়ার পক্ষেও একমত নন মেরকেল। ব্রিটেনকে সুষ্ঠুভাবে ইইউ ত্যাগের জন্য সময় দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পদত্যাগের ঘোষণার পর মঙ্গলবারই শেষবারের মত ইইউ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ক্যামেরন। ওই সম্মেলন শেষে ক্যামেরন জানান, ইইউ নেতারা ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। যদিও ব্রেক্সিট ভোটের পর মনে করা হয়েছিল ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউয়ের স্বাভাবিক সম্পর্কও আর থাকছে না। কিন্তু সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। টিটিএন/আরআইপি
Advertisement