জাতীয়

৭ বছরে সাড়ে ১০ কোটি নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে দেশে-বিদেশে গত সাত বছরে প্রায় ১০ কোটি ৬৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। এত কর্মসংস্থান অতীতে আর কখনো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার পূর্বের মেয়াদে জনগণের অভূতপূর্ব রায় নিয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে। ওই গণরায়ের ভিত্তি ছিল রূপকল্প-২০১৯, দিন বদলের সনদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মসূচির প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন।জাতীয় সংসদে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন সারা বিশ্ব ছিল অর্থনৈতিক মন্দাগ্রস্ত। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও ছিল মন্দাকবলিত। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মসূচি গ্রহণ করি।প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০১৫ সালের নমিনাল জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৬তম এবং ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে ৩৪তম স্থান অধিকার করেছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত প্রধান পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং বাংলাদেশের প্রধানতম শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও সরকারের ঐকান্তিক প্রয়াসের ফলে দেশে ও বিদেশে মিলে গত সাত বছরে প্রায় ১০ কোটি ৬৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। এত কর্মসংস্থান অতীতে আর কখনো হয়নি।শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার যেহেতু রূপকল্প-২০২১ সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছে, সে কারণে তার দৃষ্টি কেবল এক বছরে সীমাবদ্ধ নয়। আওয়ামী লীগ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ পেরিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জনপদে পরিণত করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক নির্বাচনী ইশতেহারে ২০১৪-তে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রথম সারির উন্নত দেশগুলোর সমপর্যায়ে উন্নীত করার রূপরেখা অঙ্কিত হয়েছে।এইচএস/এআরএস/এবিএস

Advertisement