জাতীয়

ভোগান্তি এড়াতে আগেই রাজধানী ছাড়ছে মানুষ

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার ঐতিহ্য বাঙালির দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে নাড়ির টানে মানুষ ঘরে ফেরে। কিন্তু পথে সীমাহীন ভোগান্তি, যানজট বা দুর্ঘটনায় সেই আনন্দ পরিণত হয় বিষাদে।ঈদের সময় সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়, দীর্ঘ সময় টার্মিনালে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের, লঞ্চযাত্রায় থাকে হাজারো বিড়ম্বনা, পথে পথে সীমাহীন নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় সকলকে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যারা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারাও অনেক সময় অতিরিক্ত ভিড়ে নিজ সিট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না।ঈদ আসলেই আনন্দযাত্রা ভোগান্তি দিয়ে শুরু হয়। যারা বাসে চড়েন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের আটকে থাকতে হয় মহাসড়কে। আবার বাস টার্মিনালে বসে যানজটের জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে হয় কাঙ্ক্ষিত বাসের জন্য।আর এসব কিছু মাথায় নিয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই গ্রামে ছোটে মানুষ। নাগরিক জীবনে ব্যস্ত মানুষ ঈদ উপলক্ষে আপনজনের সঙ্গে মিলিত হওয়া, পরস্পরের সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পায়। তাই কোনো বাধা-বিপত্তিই যেন তাদের ঠেকিয়ে রাখাতে পারে না।এসব বিড়ম্বনা এড়াতে আগেভাগেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকেই। তেমনই একজন  বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা নাইমুল ইসলাম। ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ৬ জুলাই হলেও ২৭ জুন স্ত্রী-সন্তানকে গ্রামের বাড়ি ফেরার জন্য দিনাজপুরগামী ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর স্টেশনে এসেছিলেন তিনি।নাইমুল ইসলাম বলেন, ঈদের সময় তীব্র যানজট আর মানুষের ভিড়ে বাড়ি ফেরা খুবই বিড়ম্বনার, তাই ওদের আগেই পাঠিয়ে দিচ্ছি। আর আমি ৫ তারিখের ট্রেনে বাড়ি ফিরবো।কমলাপুর স্টেশনে বন্ধুর সঙ্গে লাগেজ নিয়ে কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, ঈদের পরই আমার গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, যদিও বাড়িতে গেলে সেভাবে পড়ালেখা হয় না। তারপরও দূরপাল্লার যাত্রায় সীমাহীন ভোগান্তি আর যানজটের বিড়াম্বনার কথা চিন্তা করে ঈদের বেশ আগেই বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হচ্ছি।রাজধানীর অন্যান্য বাস টার্মিনালেও দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের আগাম ভিড়।  এএস/এমএমজেড/এনএফ/এবিএস

Advertisement