আরো একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ঢাকা আবাহনী। স্বাধীনতা কাপের পর এবার ফেডারেশন কাপেরও ফাইনালে ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটি। ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী ও কোনবার শিরোপা না জেতা আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ১৯৯৭ এবং ২০০১ সাল দুবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জেতা হয়নি আরামবাগের। দলে এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলারকে নিয়ে বাঘা বাঘা দলকে টপকে ফাইনালে উঠেছে তারা। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেস্টার একন, আবাহনীরই সাবেক ক্যামেরুনিয়ান মিডফিল্ডার ইয়োকো সামনিক ও ডিফেন্ডার ইসা ইউসিফের ওপর। সঙ্গে রয়েছে তিন নবীন সেনানী-আবদুল্লাহ, জাফর ইকবাল ও সুপিল। ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। আরামবাগও ১৯৯৭ ও ২০০১ সালে দুইবার ফাইনালে খেললেও হাসতে পারেনি শিরোপা জয়ের হাসি। কাল তারা কাটাতে চায় তাদের শিরোপা খরা। কোচ সাইফুল বারি টিটু নিজেও জানালেন দলের খেলোয়াড়দের শিরোপা ক্ষুধার কথা। ‘আমার খেলোয়াড়দের মধ্যে আছে শিরোপা ক্ষুধা। আমি সে অলোকেই বলতে পারি কাল আবাহনীর বিপক্ষে জেতার জন্যই মাঠে নামবো। আমার রয়েছে তিনজন নবীন খেলোয়াড়, জাফর ইকবাল, মোঃ আবদুল্লাহ ও আবু সুফিয়ান সুপিল। তারা আমার দলের বাড়তি শক্তি। আমি চাইবো নিজের সেরাটাই দেবে এর বাড়তি কিছু নয়।’তবে আরামবাগকে আবাহনীর থেকে এগিয়ে রাখতে নারাজ জাতীয় দলের এই সাবেক কোচ। ‘আবাহনীর সামনে আমি আরামবাগকে আন্ডারডগই বলব। জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়ে তারা দেশের সেরা দলের একটি। তবে আমাদের লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত লড়া। আমার দলের মানসিক দৃঢ়তায় আমি নিজেও অনেকটা বিস্মিত। কোয়ার্টার সেমিফাইনালে তারা যে লড়াকু মনোভাব দেখিয়েছে, তা প্রশংসার দাবিদার। রক্ষণভাগকেই আমি সৃদৃঢ় রাখবো। রক্ষণ দৃঢ় রেখেই গোল করার দিকেই মনোযোগ দেব। আবাহনীর সানডে চিজোবাকে যথাসম্ভব কম জায়গা দেবে আমার ডিফেন্স।’অন্যদিকে আবাহনীও পিছিয়ে নেই। দলগত শক্তির বিচারে আবাহনী অনেক এগিয়ে। জাতীয় দলের সাতজন খেলোয়াড় রয়েছে তাদের। রয়েছে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা, ক্যামেরুনিয়ান ফরেয়ার্ড কামারা সাররা ও ইংরেজ ফরোয়ার্ড লি টাক।ফেডারেশন কাপকে সামনে রেখেই দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন অভিজ্ঞ জর্জ কোটান। সংবাদ সম্মেলনে কোটান বলেন, ‘চার সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে আসার পর থেকেই আমার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। মাঝে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের আমি পাইনি। তারপর টানা তিন সপ্তাহ আমরা কঠিন পরিশ্রম করেছি, আরামবাগের বিপক্ষে প্রথম খেলার আগে আমাদের প্রস্তুতিটা যথার্থ ছিল না, হয়তো সেজন্য আমরা হেরেছি।’আরামবাগের বিপক্ষে গ্রুপের প্রথম ম্যাচেই হেরেছিল ঢাকা আবাহনী। এবার সেই দুঃখ ভুলে আক্রমণাত্মক খেলার পসরা সাজাতে চান কোটান। ‘আমাদের আক্রমণভাগটা যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারেনি এটি আমি অস্বীকার করছি না, কাল এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতি ম্যাচে আমরা পাঁচ থেকে ছয়টি নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেছি। তবে আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করেছি। কাল আমরা পাঁচ থেকে ছয়টি গোল করতে চাই, পারবো কিনা জানি না তবে আমরা জয়ের জন্য মাঠে নামতে প্রস্তুত। আবাহনী আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। আর আরামবাগ খেলে রক্ষণাত্মক ফুটবল। এই ম্যাচে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেই জয়ী হবে আবাহনী।’আরআর/এমএস
Advertisement