টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসেবেই এসেছিল পর্তুগাল। রোনালদোর বিধ্বংসী ফর্মের কারণে অনেকে পর্তুগালকে সম্ভাব্য বিজয়ীও মনে করেছিল। কিন্তু টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচেই মুদ্রোর উল্টোপিঠ দেখতে হয়েছে পর্তুগিজদের। তিন ম্যাচ ড্র করে কোনমতে খুঁড়িয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে। দ্বিতীয় রাউন্ডে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে কোয়র্টার ফাইনালে নিশ্চিত করা পর্তুগালের সামনে ফাইনালের আগ পর্যন্ত নেই কোন বড় প্রতিপক্ষ। পর্তুগাল যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতো তাহলে শুরুতেই লড়তে হতো বেলজিয়ামের বিপক্ষে। দ্বিতীয় হলে খেলতে হতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই অর্ধে জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালির মত দলের বিপক্ষে খেলতে হতো রোনালদোদের। কিন্তু গ্রুপে তৃতীয় হওয়াতে অনেকটা হাপ ছেড়ে বেঁচেছে পর্তুগাল। কোয়ার্টার ফাইনালে রোনালদোদের প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড। পুরো টুর্নামেন্টেই নিজেদের নামের প্রতি তেমন কোন সুবিচার করতে পারেনি লেভেন্ডোভস্কির দল। তার উপর দলের সেরা খেলোয়াড় বায়ার্ন তারকা লেভেন্ডোভস্কির গোলখরাও বেশ ভোগাচ্ছে পোল্যান্ডকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করেও টাইব্রেকারে কোনমতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে পোল্যান্ড। তাই পোল্যান্ডের বিপক্ষেও জয় পেতে তেমন বেগ পেতে হবেনা পর্তুগালকে। পর্তুগাল যদি সেমিফাইনালে ওঠে সেখানে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে ওয়েলস, হাঙ্গেরি অথবা বেলজিয়াম। ওয়েলস এবং হাঙ্গেরি শক্তিতে পিছিয়ে থাকলেও বেলজিয়ামের সঙ্গে কিছুটা লড়াই হতে পারে পর্তগালের। সেক্ষেত্রে পর্তুগালের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে ইতিহাস। বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ তিনটি ম্যাচেই দাপটের সঙ্গে জিতেছে পর্তুগাল। ২০০৪ সালে ইউরোর ফাইনালে উঠেও অপ্রত্যাশিতভাবে গ্রীসের সঙ্গে হারতে হয়েছিল পর্তুগালকে। এবার নিশ্চয়ই পর্তুগিজ সমর্থকরা ফাইনালের আশা বুনছেন রোনালদোর উপর আশা রেখে। সে লক্ষ্যে ধাপে ধাপেই এগিয়ে যেতে চায় পর্তুগাল। আরআর/পিআর
Advertisement