মানুষের প্রতি আল্লাহ তাআলার মহাঅনুগ্রহ এ পবিত্র রমজান। দেখতে দেখতে রহমত এবং মাগফিরাতের দশক তথা ২০টি রোজা অতিবাহিত হয়েছে। আজ থেকে শুরু হবে নাজাতের দশক। এ দশক মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত মর্যাদাবান। কারণ এ দশকেই রয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রজনী লাইলাতুল ক্বদর। যার ঘোষণা পরিপূর্ণ একটি সুরা আল্লাহ তাআলা নাজিল করেছেন। তাই শেষ দশকের প্রত্যেক রাতে মুমিন বান্দার তিনটি একান্ত করণীয় রয়েছে, যা তুলে ধরা হলো-১. সুরা ইখলাছ পড়াতিনবার সুরা ইখলাছ তিলাওয়াত করা। কেউ যদি তিনবার সুরা ইখলাছ তিলাওয়াত করে, তবে আল্লাহ তাআলা তাকে সম্পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াতে সাওয়াব দান করবেন। একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি এক রাতে (শোবার সময়) এক-তৃতীয়াংশ (১০ পারা) কুরআন পড়তে পারবে? সাহাবাগণ আরজ করলেন, এটা কেমন করে সম্ভব? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- কুল হুয়াল্লাহু আহাদ` (সুরা ইখলাছ) কুরআনের এক তৃতীয়াংশ। (বুখারি ও মুসলিম)২. ইশা এবং ফজর নামাজ জামাআতে আদায়ইশা এবং ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ইশার নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করলো, সে যেন অর্ধরাত পর্যন্ত নামাজ আদায় করলো। আর যে ইশা এবং ফজর নামাজ জামাআতে আদায় করলো, তবে ঐ ব্যক্তি সারা রাত নামাজ আদায় করলো। (তিরমিজি)৩. দান-খয়রাত করাপ্রতি রাতে গরিব অসহায়দের মাঝে দান করা। কারণ এ দশকে রয়েছে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল ক্বদর।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের শেষ দশকের প্রতি রজনীতে উক্ত তিনটি কাজ করার তাওফিক দান করুন। লাইলাতুল ক্বদরের বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement