ইতিহাস বদলানোর ঘোষণা দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তাতে নড়ে-চড়ে বসেছেন পৃথিবীব্যাপী মেসি এবং আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। আর যে দেশে কোপা আমেরিকার শতবর্ষ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো মেতেছে এখন মেসি বন্দনায়। মেসি ট্রফি জিতে ইতিহাস বদলাতে পারবেন কি না সেটা আগামীকাল সকালেই বোঝা যাবে। তবে ফুটবল রাজপুত্রের উপস্থিতি গোটা যুক্তরাষ্ট্রকে যে পাল্টে দিয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। যে দেশে খেলা বলতে সবাই জানে বেসবল কিংবা বাস্কেটবল, সে দেশই এখন মেসি ম্যানিয়ায় আক্রান্ত। বার্সেলোনা তারকাকে এক ঝলক দেখতে ব্যারিকেড ভেঙে দর্শকরা ঢুকে পড়ছেন মাঠে। মেসি মাঠে ঢোকার আগে সেলফির আবদার। ফুটবলে ক্ষুদে জাদুকরকে নক নজর দেখার সুযোগ তো রোজ রোজ পাওয়া যায় না! যুক্তরাষ্ট্র সমর্থকদের আবেগই হয়তো মেসিকে বাড়তি তাতাচ্ছে একবার দেশের জার্সিতে ট্রফি জেতার জন্য। পানামার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক হোক বা যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ২৫ গজের ফ্রি-কিক, অনবদ্য সমস্ত মুহূর্ত উপহার দিয়ে যাচ্ছেন তিনি এবার কোপায়।ফাইনালের ৪৮ ঘণ্টা আগে নিজ দেশের ফেডারেশনকে কটাক্ষ করে আবারও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মেসি। তবে পরিস্থিতি যখন উল্টে যাচ্ছিল, তখন ক্ষমা চেয়ে বার্সার মহা তারকা বললেন, ‘আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ ফাইনালের আগে এ রকম কথা বলা উচিত হয়নি। অনেক কিছুই চলছে এখানে; কিন্তু এখন সে সব ভুলে ফাইনালে মন দেওয়া উচিত।’দেশের হয়ে প্রথম ট্রফি আর মেসির মধ্যে এবারও দাঁড়িয়ে সেই চিলি। শতবর্ষের কোপার প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-১ হারিয়েছিলো চিলিকে। তবে টুর্নামেন্ট যত গড়িয়েছে, চিলি নিজেদের ফর্মে ফিরে এসেছে। আর আর্জেন্তিনা মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। ফাইনালের আগে আটজন ফুটবলার ছোট-বড় উনজুরিতে আক্রান্ত। যদিও সর্বশেষ খবর, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াসহ ৫জন সুস্থ। ফাইনালের একাদশে থাকতে পারবেন তানা। তবে এজেকুয়েল লাভেজ্জি এখনও অনিশ্চিত।এর মধ্যে আবার হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন চিলির কোচ। হুয়ান আন্তোনিও পিজ্জি বলছেন, ‘প্রতিটা ম্যাচ জেতার মানসিকতা নিয়ে খেলতে হয়। আমার দলের ফুটবলাররা দেশের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেয়। আমার ছেলেরা সবাই কিন্তু ভাল ফর্মে আছে।’আইএইচএস/পিআর
Advertisement