একটা দল, যারা র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে দুই নম্বরে এবং ইউরোপে প্রথম। আরেকটা বিশ্বের ২০ নম্বর দল। প্রথমটা বেলজিয়াম। দ্বিতীয়টা হাঙ্গেরি। বেলজিয়ামের এই প্রজন্মকেই বলা হচ্ছে সবচেয়ে সেরা। আর হাঙ্গেরি তো সেরা সময়টা কাটিয়ে এসেছে বহুদিন আগেই। বেলজিয়ামকে বলা হচ্ছে এবারের ইউরোয় সবচেয়ে দামি। অন্যদিকে হাঙ্গেরিকে মাপকাঠিতেই আনা হচ্ছে না। যদিও তদু’দলের ক্ষেত্রে একটাই সাদৃশ্য। কেউই ইউরো জিততে পারেনি এখনও পর্যন্ত। এমনই এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বেলজিয়াম এবং হাঙ্গেরি। বেলজিয়াম নিজেদের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হলেও, তিন দশক পর ইউরোতে যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাওয়ায় হাঙ্গেরিকে নিয়ে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে অনেকেই। বিশেষত, আগের ম্যাচে পর্তুগালের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে হাঙ্গেরির লড়াই আরও আশা বাড়িয়ে দিয়েছে। হাঙ্গেরির মানুষ ধরেই নিয়েছেন, জিততে না পারলেও হয়ত ভাল জায়গাতেই শেষ করবেন তারা। সে কারণেই বেলজিয়ামকে সতর্ক করে দিয়েছেন কোচ মার্ক উইলমটস। হাঙ্গেরিকে কত গোলে হারাবেন, এই প্রশ্ন শুনতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে উইলমটস বলছেন, ‘আপনারা ইউরো দেখছেন? দেখেছেন কীভাবে হাঙ্গেরি পর্তুগালের বিরুদ্ধে খেলল? বালাস জুজাক, অ্যাডাম সালাই, ক্রিশ্চিয়ান নেমেথ- কত বড় বড় খেলোয়াড় রয়েছে। ওয়েলস যখন বাছাই পর্বে আমাদের হারিয়েছিল তখনও তো আপনারা (সংবাদমাধ্যম) হেসেছিলেন। এখন দেখছেন তো ওরা কী রকম খেলছে!’কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে, হাঙ্গেরিকে আজ একটুও ফাঁকা জায়গা দিতে রাজি নন তারা। অন্যদিকে, হাঙ্গেরির এই সাফল্য অনেকেই তাদের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন পাঁচের দশকের দলকে, যাদের আদর করে ‘ম্যাজিক্যাল ম্যাগিয়ার’ বলে ডাকা হত। কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসের নেতৃত্বাধীন সেই দল ছিল অপরাজেয়। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৬- এই ৬ বছরে তারা হেরেছিল একবারই। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে। এরমাঝে ইংল্যান্ডকে ওয়েম্বলিতে ৬-৩ ব্যবধানে হারায়। যাকে হাঙ্গেরির সমর্থকেরা ‘ম্যাচ অফ দ্য সেঞ্চুরি’ বলে থাকেন। ঘরের মাঠেই এরপরে ইংল্যান্ডকে তারা ৭-১ হারায়। তবে মিডফিল্ডার লাসলো ক্লেনহেসলার অবশ্য সাবধানী। তিনি বলে রেখেছেন, ‘আমি মানি না আমরা আগের সেই দলের মতো শক্তিশালী। তবে বিশ্বাস করি একদিন ঠিকই শক্তিশালী হয়ে উঠব। তবে বর্তমান সময় নিয়ে ভাবছি এখন। দলের সবাই ক্রমশ উন্নতি করছি।’ আগের ম্যাচে জোড়া গোল পেলেও, অধিনায়ক বালাস জুজাক কৃতিত্ব দিলেন নিজের পরিশ্রমকেই। ‘অবশেষে আমার সময় এল। অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে ধৈর্যের ফল মিলল।’আইএইচএস/পিআর
Advertisement