‘এ’গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে ফ্রান্স। আর ‘ই’ গ্রুপ থেকে তৃতীয় হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় রাউন্ডে সেই ফ্রান্সেরই মুখোমুখি আইরিশরা। দু’দলের মুখোমুখি হওয়ার ইতিহাস বেশ পুরনো। যদিও সর্বশেষ ৫ বারের মুখোমুখিতে ফরাসিদের হারাতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। তবে ফ্রান্স জিতেছে মাত্র ২টি ম্যাচ। ড্র করেছে বাকি তিনটি।বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় লিওঁতে আইরিশদের স্বাগত জানাবে স্বাগতিক ফ্রান্স। ফ্রান্সের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড সর্বশেষ জিতেছে ১৯৮১ সালে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে। আইরিশরা জিতেছিল ৩-২ গোলের ব্যবধানে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আইরিশরা জিততে না পারলেও ফরাসিদের খুব বেশি গোলও করতে দেয়নি। সর্বশেষ এই পাঁচ ম্যাচের মধ্যে মাত্র চারটি গোল দিতে পেরেছে দুই দল। তিনটি ফ্রান্স এবং আয়ারল্যান্ড।তবে ফ্রান্স এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সর্বশেষ দেখা হয়েছে ২০০৯ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্লে-অফে। সেবার প্রথম পর্বে ১-০ গোলে জিতলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে থিয়েরি অঁরির বিতর্কিত ‘হ্যান্ড বল’ গোলে ড্র করে ছিটকে পড়ে আইরিশরা। সেই ঘটনার মধুর প্রতিশোধ নেয়ার সামনে দাঁড়িয়ে আয়ারল্যান্ড। পারবে কী তারা!এবার তৃতীয়বারেরমত ইউরোয় খেলতে এসেছে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড। আর ফ্রান্স সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২০০০ সালে। আর গ্রুপ পর্বে ফরাসিরা শীর্ষে থেকেছিল ২০০৪ সালে। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে তারা ছিটকে পড়েছিল সেবারের চ্যাম্পিয়ন গ্রিসের কাছে হেরে। সেবারের পর এবারই ফ্রান্সকে দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি উজ্জল। তাহলে কী পারবে ফরাসিরা নিজেদের আরও এগিয়ে নিতে?আরও একটি রেকর্ড উৎসাহ দিতে পারে ফ্রান্সকে। সেটা হলো, ১৯৬৬ সালের পর এই প্রথম টানা দুই ম্যাচ গোল হজম করেনি ফ্রান্স। সেবার নেদারল্যান্ডস এবং চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে গোল হজম করেনি। এবার প্রথম ম্যাচে রোমানিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে একটি গোলই শুধু হজম করেছিল তারা। তবে সম্প্রতি কিছু ইতিহাসও তাদের বিপক্ষে। ইউরোর নকআউটে গত ১৬ বছরে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল ২০০০ সালের ফাইনালে। এরপর ২০০৪ এবং ২০১২ সালের নকআউটে উঠেও জিততে পারেনি ফরাসিরা। এবার কী পারবে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা! সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া ম্যাচের পরই বোঝা যাবে সেটা।আইএইচএস/এমএস
Advertisement