ইইউয়ের সঙ্গে ব্রিটেন থাকবে কি থাকবে না সে বিষয়ে ব্রেক্সিট গণভোটের পর না থাকার পক্ষে ৫২ শতাংশ ভোট পড়ায় ইইউ ত্যাগ করেছে ব্রিটেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাবার পর ইউনাইটেড কিংডম অব গ্রেট ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্যও ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। ইতোমধ্যেই ইইউতে নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে ব্রাসেলসের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে চাইছে স্কটল্যান্ড। গণভোটের ফলাফলের পর স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসের এক অংশের ভোটাররা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।গণভোটের পর ওই তিনটি রাজ্য নিজেদের স্বাধীনতার দাবি তুলতে পারে বলেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে স্কটল্যান্ডে দু বছর আগে থেকেই স্বাধীনতা প্রশ্নে এক গণভোটের আয়োজন করেছিল। মাত্র ১০ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে সেসময় স্কটল্যান্ডকে যুক্তরাজ্যে সঙ্গে থাকতে হয়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডও বহু দশক ধরে স্বাধীন আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের অংশ হবার দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রাম করে চলেছে।যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অংশ হওয়ার পর এসব রাজ্যের মধ্যে স্বাধীন হওয়ার বাসনা হয়তো একটু কমে গিয়েছিল। কিন্তু ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাবার পর ওই রাজ্যগুলোর মধ্যে আবারও স্বাধীনতার স্বপ্ন জেগে উঠেছে। আর এ কারণেই হয়তো ব্রেক্সিট গণভোটের ফলাফলের মাত্র একদিন পরেই ইইউতে থাকার পক্ষে ব্রাসেলসের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে চাইছে স্কটল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টারজন বলেছেন, তারা যুক্তরাজ্য থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বাধীন হবার জন্য আরো একটি গণভোট করতে আইন প্রণয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।তিনি আরো বলেন, দু বছর আগে যে পরিস্থিতিতে প্রথম গণভোট হয়েছিল তা এখন পুরোপুরি পাল্টে গেছে। বৃহস্পতিবারের গণভোটের ফলে স্কটল্যান্ডকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আনার চেষ্টা করা হতে পারে। কিন্তু এটা অগণতান্ত্রিক। তাই এখন স্বাধীনতা প্রশ্নে নতুন গণভোট দরকার বলে মনে করেন স্টারজন।এর আগে ট্রাম্প স্টারগিওন দ্বিতীয়বার গণভোটের প্রতি ইঙ্গিত করে মন্তব্য করেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো ব্রিটেনে আরো একটি গণভোটের আয়োজন করা হতে পারে। ইইউতে থাকার বিষয়ে আলোচনা করতে ইতোমধ্যেই ক্যাবিনেটের সদস্যরাও সম্মত হয়েছেন। স্কটল্যান্ডকে রক্ষা করতে তারা সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। টিটিএন/এবিএস
Advertisement