খেলাধুলা

তরুণদের কেউ এ মুহূর্তে দলে খেলার মতো না : নান্নু

এবারের প্রিমিয়ার লিগে যে এক ঝাঁক তরুণ নজর কাড়া পারফরমেন্স উপহার দিয়েছেন। প্রায় নিয়মিতই আলো ছড়িয়ে ম্যাচ নির্ধারণী ভূমিকায় রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নিজেদের পারফর্মেন্স দিয়ে প্রশংসাধন্য হয়েছেন। কিন্তু তাদের ভবিষ্যত কি? নির্বাচকরা তাদের কথা কি ভাবছেন ? তারা কি আগামীতে বিবেচনায় থাকবেন? তাদের কারো নিকট ভষ্যিতে জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা কতটুকু? নানা কৌতূহলী প্রশ্ন ভক্ত সমর্থক ও অনুরাগীদের।নতুন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কাছে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে ঠিক এ প্রশ্ন গুলোই করা হয়েছিল। মিনহাজুল এ সব প্রশ্নর জবাবে অনেক কথাই বলেছেন। তবে সব কথার সারমর্ম হলো, তারা তরুনদের নৈপুণ্যে সন্তুষ্ট। বেশ কয়েকজনের ব্যাটিং ও বোলিং তাদের নজর কেড়েছে। কিন্তু প্রধান নির্বাচক নান্নু মনে করেন না, কেউই এখনই জাতীয় দলে ঢোকার দাবিদার। তার ব্যাখ্যা, আরও সময় লাগবে। কিছু ঘষা মাজার প্রয়োজন আছে।মিনহাজুল বলেন, `ভিক্টোরিয়ার আল আমিনের স্বচ্ছন্দ ও সাহসী ব্যাটিং, ওপেনার মজিদের সাবলীল উইলোবাজি এবং আবাহনীর মিডল অর্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দৃঢ়চেতা ব্যাটিং বেশ ভাল লেগেছে আমার। তাদের মাঝে যথেষ্ঠ সম্ভাবনাও আছে। তবে আমার মনে হয়না, তারা কেউই এখন জাতীয় দলে খেলার মত।’তারা কেউ এখনই জাতীয় দলে ঢোকার অবস্থায় নেই কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নান্নু বলেন, `খুব নিবিড় পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে তরুণ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যারা বেশ ভালো খেলে রান করেছে, তাদের অনেকেই একদম ফ্ল্যাট ব্যাটিং ট্র্যাকে ব্যাটিং করেছে। স্পোর্টিং পিচ বা বোলিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে তারা কতটা কি করতে পারে? তা আগে খুঁটিয়ে দেখতে হবে। তারচেয়ে বড় কথা, তরুণদের বড় অংশ নির্ভেজাল ব্যাটিং ট্র্যাকে স্লো বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভাল খেলেছে। অনেককেই দেখেছি ফাষ্ট বোলিং সামলাতে পারেনি। আর যে সব তরুনদের ব্যাট থেকে বেশী রান এসেছে, তাদের বড় অংশ স্লো ও ফ্লাট পিচে স্পিনারদের ইচ্ছেমত খেলেই রান পেয়েছে। সবার আগে দ্রুত গতির বোলারদের সামাল দেয়া শিখতে হবে। ফার্ষ্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে সাবলীল উইলোবাজি করতে হবে। যার অভাব ছিল প্রচুর। কাজেই যে সব তরুণ ভাল খেলেছে, তারা আসলে কত ভাল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভাল করার মত কিনা, তা জানতে তাদের স্পোর্টিং পিচে কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে দিতে হবে। তবেই না সত্যিকার মেধার পরিচয় মিলবে। তবে সন্দেহ নেই তারা ভালো খেলেই রান করেছে। কিন্তু কোথায় কোন পিচে, কি ধরণের বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলে তা করেছে, সে সব বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে। আমরা সে সব চিন্তাই করছি।`তবে মিনহাজুলের দৃঢ় বিশ্বাস, তরুণদের ফাষ্ট বোলিং মোকাবিলার ক্ষমতা বাড়ানোর সত্যিকার জায়গা হতে পারে হাই পারফরমেন্স প্রোগ্রাম। এ সম্পর্কে তার আশাবাদি উচ্চারণ, `তরুণদের মধ্যে যারা আলো ছড়িয়েছে, তাদের ফাষ্ট বোলিং ভাল খেলার জায়গা হতে পারে এইচপি ট্রেনিং প্রোগ্রাম। আশার কথা, এইচপিতে ভাল কোচও এসেছেন। আমার বিশ্বাস, এইচপিতে ঠিকমত পরিচর্যা হলে তরুণদের মধ্য থেকে ভবিষ্যতে অবশ্যই একাধিক ব্যাটসম্যান বেড়িয়ে আসতে পারে।`প্রধান নির্বাচকের এমন মন্তব্যই সুস্পষ্ট বলে দিচ্ছে প্রিমিয়ার লিগে ভাল খেলা পারফরমারদের জায়গা হবে এইচপিতে। খুব বেশি সময় নয়। দীর্ঘ প্রিমিয়ার লিগ খেলার ক্লান্তি ও অবসাদ কাটিয়ে কিছু দিন বিশ্রামের পর আগামী মাসের ১৭ তারিখ ( ১৭ জুলাই) থেকে শুরু হবে হাই পারফরমেন্স প্রোগ্রাম। আর ২০ জুলাই থেকে শুরু জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। আর সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখ থেকে বিসিএল। তার মানে অক্টোবরে ইল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের আগে প্র্যাকটিস করার যথেষ্ঠ সময় মিলবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলারও অবকাশ থাকবে। দেখা যাক, এর মধ্যে কোন নতুন প্রতিভা জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারেন কি না?এআরবি/এমআর/বিএ

Advertisement