নতুন একটি শিশু পৃথিবীতে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার চারপাশের পরিবেশ বদলে যয়ি। নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর জন্য শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই যত্ন নেয়ার কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। প্রচণ্ড শীত প্রায়ই নবজাতকের জন্য সমস্যা বয়ে আনে। শীতের এ সময়টায় শিশুদের প্রতি আলাদা করে মনোযোগী হতে হবে।১. শিশুরা মায়ের পেটে উষ্ণ তাপমাত্রায় অবস্থান করে। তাই পৃথিবীর তাপমাত্রায় সে শীত অনুভব করে। তাছাড়া শিশুদের শরীরে তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি হতেও সময় লাগে। তাই শিশুকে স্যাঁতসেঁতে কোনো ঘরে না রেখে উষ্ণ তাপমাত্রায় রাখুন।২. খুব বেশি শীত না হলে হালকা সুতি কাপড় পরিয়ে কাঁথা মুড়িয়ে রাখা যায়। অনেকেই হালকা শীতে শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখেন। এতে শিশুদের শরীর ও মাথা ঘেমে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে।৩. কাপড় দিয়ে জড়িয়ে না রেখে মার কোলঘেঁষে শোয়াবেন। এতে শিশু উষ্ণ থাকবে। মায়ের সঙ্গে আন্তরিকতা বাড়বে।৪. নবজাতককে ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ খেতে দিন। বুকের দুধে রোগ প্রতিরোধক শক্তি থাকে বলে শিশু সহজে ঠাণ্ডা, কাশি ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয় না।৫. মাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শিশু যদি ২৪ ঘণ্টায় ছয়বার প্রস্রাব করে তাহলে বুঝতে হবে ঠিকমতো দুধ পাচ্ছে।৬. জন্মের সঙ্গে সঙ্গে গোসল করানোর দরকার নেই। শিশুর নাভি না শুকানো পর্যন্ত গোসল করাবেন না। গোসলের জন্য ঈষদুষ্ণ পানি নিয়ে বেবি সোপ দিয়ে গোসল করিয়ে পাতলা নরম কাপড় বা নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।৭. শীতকালে শিশুর গায়ে বেবি অয়েল দিয়ে আলতোভাবে মেসেজ করে দিতে পারেন। দিনে জানালা খুলে রোদ ও নির্মল বাতাস ঘরে ঢুকতে দিন।৮. শিশুর কাপড় ঘরে না শুকিয়ে রোদে শুকাবেন। এছাড়া শিশুর বিছানা-বালিশ প্রতিদিন রোদে গরম করে নিলে শিশু আরামবোধ করবে।৯. এ সময় শিশু বারবার ন্যাপি ভিজিয়ে ফেলে। ন্যাপি বারবার পাল্টে দিতে হবে। তা না হলে নবজাতকের ঠাণ্ডা লেগে নিউমোনিয়া অথবা মামস হয়ে যেতে পারে।১০. শীতে শুষ্ক আবহাওয়ায় ধুলোবালি বেশি থাকে। খেয়াল রাখতে হবে শিশুর গায়ে যেন ধুলোবালি না লাগে এবং কাপড়-চোপড়ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।১১. শিশুর ত্বক শুষ্ক হতে দেয়া যাবে না। দিনে দুই-তিনবার বেবি অয়েল বা ভ্যাসলিন দিতে হবে।১২. সকাল-বিকাল কান ঢাকা টুপি ও হালকা শীতের কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে।রাতে ডায়াপার পরিয়ে শোয়াতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে শিশুর নাক ও মুখ যেন লেপ, কম্বল দিয়ে ঢেকে না যায়।
Advertisement