ফিতরা তারাই দিবেন যারা ঈদের রাত ও দিনে নিজের এবং পরিবারের সবার একান্ত প্রয়োজনীয় আহারের চেয়ে অতিরিক্ত খাদ্য বা সম্পদ মজুদ থাকে। ফিতরা দেয়ার জন্য জাকাত ফরজ হওয়ার বিষয়াবলীর কোনো বিধান নেই। এ কথা বলা যাবে না যে, আমার উপর তো জাকাত ফরজ নয়; বা আমি তো নিসাব পরিমাণ মালের মালিক নই। সুতরাং যারা রমজানের শেষ রোজায়, ঈদের যাবতীয় খরচ মিটিয়ে অতিরিক্ত অর্থ থাকবে তার উপর পরিবারের পক্ষ থেকে সবার জন্য ফিতরা আদায় করবে।১. ফিতরা দেয়ার জন্য জায়গা-জমি, বাড়ি-গাড়ি, ধন-সম্পদ নিসাব পরিমাণ মালের মালিক হওয়া জরুরি নয়। এ সাদাকাহ কাফফারার মতো যা ধনী-গরিব সকলেই আদায় করতে বাধ্য। ২. পরিবারের সবার জন্য নির্ধারিত হারে ফিতরা দিতে হবে। পরিবারের কর্তা ব্যক্তি শুধুমাত্র নিজের ফিতরা নয়, বরং তার অধীনস্থ ছোট-বড়, চাকর-বাকর, ছেলে-মেয়ে এমনকি ঈদের নামাজের পূর্বে সদ্য ভূমিষ্ট বাচ্চার জন্যও সাদকাতুল ফিতর দিতে হবে।৩. যে ব্যক্তির ফিতরা আদায় করার মতো কিছু আছে; কিন্তু তার ওই পরিমাণ দেনা বা ঋণ আছে, তবুও তাকে ফিতরা আদায় করতে হবে। তবে যদি ঋণদাতা তার ঋণ পরিশোধ করার তাগাদা দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে আগে ঋণ পরিশোধ করাই আবশ্যক।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল সামর্থবানদের যথাযথভাবে ফিতরা আদায় করে গরিব-দুঃখী ও অসহায়দের পাশে দাড়ানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement