দক্ষিণ আফ্রিকায় রুবেল হোসেন (২৯) নামে এক বাংলাদেশির পিস্তলের গুলিতে বেলাল হোসেন (৩৩) নামে অন্য এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে জোহানেসবার্গ শহরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বেলাল হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ছনগাঁও গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। হত্যাকারী রুবেল হোসেন সোনাইমুড়ী পৌরসভার ভানুয়াই গ্রামের চুক্ষু মিয়ার ছেলে। এদিকে, বেলাল হোসেন মারা যাওয়ার খবরে পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গেছে, পরিবারে সচ্ছলতা আনতে ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায় বেলাল। পরে আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরে নিজেই একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করে। ২০০৬ সালের পর আর বাড়ি আসেননি বেলাল। ঈদের পর বাড়িতে এসে বিয়ে করার কথা ছিল। ৬ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে বেলাল সবার বড় ছিল। কান্না জড়িত কণ্ঠে নিহত বেলাল হোসেনের বাবা আবুল কাশেম জানান, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে মোবাইলে বেলালের সঙ্গে তার কথা হয়। এ সময় বেলাল তাকে জানায়, সোনাইমুড়ী পৌরসভার ভানুয়ায় গ্রামের রুবেল নামের এক যুবক গত এক বছর আগে ব্যবসা করবে বলে তার কাছ থেকে ৪২ হাজার রিয়াল নিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে থেকে টাকার দেয়ার জন্য রুবেলকে বললে রুবেল তাকে হত্যার হুমিক দিচ্ছে। পরে তিনি ওই টাকার জন্য রুবেলের সঙ্গে কোনো প্রকার বিরোধে না জড়ানোর জন্য বেলালকে নিষেধ করে কথা শেষ করেন।তিনি আরো জানান, ওইদিন রাতেই আফ্রিকা থেকে বেলালের সিলেটের এক বন্ধু তাকে মোবাইলে জানান টাকা লেনদেনের সূত্রধরে বেলালের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়িতে তাকে পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায় রুবেল। এ সময় বেলালের মাথা ও কানের পাশে গুলি লাগে। পরে স্থানীয়রা বেলালকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মিজানুর রহমান/এসএস/এবিএস
Advertisement