গত কয়েকদিনের তুলনায় শীত অনেকটাই কমে গেছে। তবে শীতের প্রকোপ কমলেও কমছে না ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। ঢাকাসহ সারাদেশেই এর প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলছে। এ অবস্থায় সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু আর বৃদ্ধরা। তবে, এতে আতঙ্কিত না হয়ে এ সময় সবাইকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকাসহ শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।রাজধানীর শিশু হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের মধ্যে শতকরা ৮০ শতাংশই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস, সর্দি, কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু। শুধু ইনডোরেই নয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের আউটডোরেও প্রতিদিন শতাধিক ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ভিড় করছেন অভিভাবকরা।শীত কমলেও বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বেশি থাকায় শিশুরা ভাইরাস জনিত এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা শামসাদ জানান, বছরের এই সময়টাতে শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। সর্দি-কাশিতে যখন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়, তখন নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া শুরু থেকেই হতে পারে, আবার সর্দি-কাশি থেকেও হতে পারে।ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শিরীন আফরোজ জানান, এই সময় শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ হতেই পারে, তাই আতঙ্কিত না হয়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে। কুসুম গরম পানি আদা যোগে রং চা খাওয়ানো, নাক পরিষ্কার রাখা, অতিরিক্ত ঘাম যেন বসে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।এরপরও যদি জ্বর থেকে যায়, সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে বলেও জানান তিনি।
Advertisement