খেলাধুলা

মেসিকে থামানোর অঙ্ক কষছে আমেরিকা!

গোলের মধ্যে লিওনেল মেসি। টুর্নামেন্টে তার নামের পাশে চার গোল। ছুঁয়ে ফেলেছেন বাতিগোলকে। ১৬৪ মিনিট খেলে করিয়েছেন দুটো গোলও। অভাবনীয় ছন্দে আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে ১৪ গোল। মাত্র চার ম্যাচে। কোপা সেন্টেনারিওতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা জাগাচ্ছে যারা।তবু মেসি ও তার দলকে ভয় পাচ্ছে না আমেরিকা। সেমিফাইনালে এই কোপার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের মুখে নামার আগে ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যানের মুখে অন্য কথা। তিনি সাফ বলে দিয়েছেন, ‘কোপা না জেতার কোনো কারণ দেখছি না।’কেন? তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। ক্লিন্সম্যানের কথায়, ‘গত কয়েক বছরে সারা বিশ্ব ঘুরে কিছু কঠিন ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছি আমরা। আমরা কিন্তু অনেককেই চমকে দিয়েছি। কেউ কি ভেবেছিল, পতুর্গালকে পেছনে ফেলে আমরা ব্রাজিল বিশ্বকাপের নকআউট স্টেজে যাব? আসলে নক আউট ম্যাচে সব কিছুই সম্ভব। আর দুটো ম্যাচ সামনে। এখনই তো বড় স্বপ্ন দেখার সেরা সময়!’বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী বুধবার সকাল ৭টায় মার্কিনিদের মুখে নামছেন মেসি অ্যান্ড কোং, কোপার সেমিফাইনাল খেলতে। তার আগে ভীষণ ফোকাসড আর্জেন্টিনা। ২৩ বছর কোনো ট্রফি জেতেনি, কোনো বড় টুর্নামেন্টও জেতেনি আর্জেন্টাইনরা। এবার সেই খরা কাটাতে চান মেসিরা।চোটের জন্য প্রথম ম্যাচে খেলেননি বার্সা তারকা। পরের দুটো ম্যাচে পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। সর্বশেষ কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই নেমেছিলেন মেসি। আমেরিকার বিরুদ্ধে নামার আগে মেসি বলেছেন, ‘আমরা ঠিক পথে এগোচ্ছি। তবে এটাও মেনে নিতে হবে যে, আমেরিকার বিরুদ্ধে তাদের দর্শকদের সামনে অত্যন্ত কঠিন একটা কাজ।’দল হিসেবেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্লিন্ট ডেম্পসিদের। মেসির কথায়, ‘টিম হিসেবে আমেরিকা ভীষণ কঠিন প্রতিপক্ষ। বিশেষ করে ওরা রাফ অ্যান্ড টাফ ফুটবল খেলে। ওদের বক্সে প্রতিপক্ষকে কোনোভাবেই ঢুকতে দেয় না।’তবে সব ছাপিয়ে গিয়ে নিজের স্বপ্নের কথাও জানিয়ে দিয়েছেন মেসি। বিশ্বকাপ পাননি। পরের বছর কোপাতেও চিলির কাছে হারতে হয়েছিল ফাইনালে। এবার কোপাটা নিয়ে ফিরতে চান তিনি। ‘দেশের হয়ে কিছু জিততে চাই। আর তার জন্য যা যা করার দরকার, তাই করবো।’ক্লিন্সম্যানের দল মেসিকে থামানোর অঙ্ক সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। দলের ক্যাপ্টেন মাইকেল ব্র্যাডলি যেমনটা বলেই দিয়েছেন, ‘এটা সত্যি যে মেসি দুরন্ত ফুটবলার। ভয়ঙ্কর স্কোরার। ওর খেলা আমার ভীষণ ভালো লাগে। সর্বকালের সেরাদের অন্যতম; কিন্তু মাঠের খেলাটা অন্য রকম হবে।’সঙ্গে ব্র্যাডলি জুড়েছেন, ‘টিমগেম যেকোনো প্লেয়ারকে থামিয়ে দিতে পারে, তার অনেক উদাহরণ কিন্তু রয়েছে বিশ্বে। আমরা টিম গেমটাকেই অস্ত্র করে মাঠে নামব।’আইএইচএস/বিএ

Advertisement